কয়রায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে লোকালয়ে পানি
Published : Sunday, 26 May, 2024 at 6:43 PM Count : 355
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে খুলনার উপকূলীয় কয়রার ১০ টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি ঢুকছে। এছাড়া ৯টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ঝুকিপূর্ণ হয়ে যাওয়ায় সেখানে জরুরী ভিত্তিতে মাটি ও জিও ব্যাগ দিয়ে মেরামতের কাজ করা হচ্ছে।
জানা গেছে, ২৬ মে (সোমবার) দুপুরে নদীতে স্বাভাবিকের তুলনায় জোয়ারের পানি বাড়তে থাকলে কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের গোলখালি (কোস্টগার্ড অফিস সংলগ্ন), মাটিয়া ভাঙ্গা, ছোট আংটিহারা, চোরা মুখা, বড় আংটিহারা, খাসিটানা, জোড়শিং মহারাজপুর ইউনিয়নের পবনা, কয়রা সদরের হামখুড়ার গড়া, মদিনাবাদ লঞ্চঘাট এলাকায় বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। পরে উপজেলা প্রশাাসনের তত্বাবধানে সেখানে দিনভর বাঁধ মেরামতে অংশ নেয় সাধারণ মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, রেমাল উপকূলে আঘাত হানার আগেই খুলনার নদ-নদীতে বিপদসীমার ৪-৫ ফিট উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। পশুর নদীতে পানি প্রবাহের বিপদ সীমা মাত্রা দুই দশমিক ৪৫ মিটার। আজ তা বেড়ে হয়েছে ২ দশমিক ১৭ মিটার। খুলনার সবচেয়ে বড় নদী শিবসার স্বাভাবিক পানি প্রবাহ থাকে এক দশমিক ৭৬। এর বিপদ সীমা হল এক দশমিক ৩৭ মিটার। আজ সেখানে প্রবাহিত হচ্ছে ২ দশমিক ৯৪ মিটার।
কপোতাক্ষ নদীর বিপদসীমা এক দশমিক ৯৫ মিটার আজ তা বিপদ সীমা ছাড়িয়ে ২ দশমিক ৪৭ মিটার এ পৌঁছেছে। শাকবাড়িয়া নদীর বিপদসীমা ২ দশমিক ১৭ মিটার সেখানে আজ বিপদসীমা অতিক্রম করে জোয়ার বৃদ্ধি পেয়েছে ২ দশমিক ৩৯ মিটার। ফলে এখানকার অনেক এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল জানান, সোমবার দুপুরে জোয়ারে নদীতে অস্বাভাবিকভাবে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি স্থান দিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। পরে স্থানীয়দের সাথে নিয়ে পানি আটকাতে মাটি ফেলানোর কাজ চলমান রয়েছে। রাতে জোয়ারে কি হয় আল্লাহই ভাল জানেন। এছাড়া চরামুখা, গোলখালি, ঘড়িলাল,কোবাদকসহ বেশ কয়েকটি বেঁড়িবাধ জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
সমাজ সেবক নিশিত রঞ্জন মিস্ত্রি জানান, ঘূর্ণিঝড় ও পূর্ণিমার প্রভাবে নদীতে জোয়ারের পানি চার থেকে পাঁচ ফুট বৃদ্ধি পেয়ে কয়রার দক্ষিণ বেদকাশি, উত্তর বেদকাশি, কয়রা ও মহেশ্বরীপুরের ১০ টি পয়েন্টে বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি ঢুকেছে।
কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বি এম তারিক উজ-জামান জানান, নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়ায় সামান্য জোয়ারের পানি বৃদ্ধি হলেই বেড়িবাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে থাকে। বেড়িবাঁধের উপর দিয়ে পানি প্রবেশ ঠেকাতে মাটি ও জিও ব্যাগ দিয়ে বাঁধ উচু করা হচ্ছে।
এসএম/এসআর