রোববার ভোর সাড়ে ৫টা থেকে ৬টার মধ্যে পৃথক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ওমর ফারুক পাটোয়ারী (৪৫) নোয়াখলা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।
নিহত আহাদ আহমেদ ওরফে হাম্বা (২০) একই ওয়ার্ডের আকবর পাটোয়ারী বাড়ির বাবর হোসেনের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আহাদ আহমেদ ওরফে হাম্বা এলাকায় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিলো। বিভিন্ন সময় সে এলাকায় বিশৃঙ্খলা করতো। গত রমজান মাসে এসব বিষয়ে এলাকার লোকজন মেম্বারের কাছে অভিযোগ নিয়ে এলে শালিসি বৈঠকে হাম্বাকে সর্তক করেন ইউপি মেম্বার ফারুক।
ধারণা করা হচ্ছে এসব বিষয় নিয়ে মেম্বার ফারুকের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলো আহাদ। এর জেরে রোববার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বড় একটি ধারালো কিরিচ নিয়ে মেম্বারের বাড়িতে আসে আহাদ। এ সময় সে মেম্বারের ঘরের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে তার নাম ধরে ডাক দিলে ঘর থেকে বের হয়ে আসেন মেম্বার। কিছু বুঝে উঠার আগে আহাদ তার হাতে থাকা ধারালো কিরিচ দিয়ে মেম্বার ফারুককে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। এ সময় মেম্বারকে বাঁচাতে এলে তার ভাগিনা সালেহ আহমেদ খানকেও (২৪) কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায় আহাদ। পরিবারের লোকজন মেম্বার ও তার ভাগিনাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতে মেম্বার ওমর ফারুককে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মেম্বারকে কুপিয়ে জখমের খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার লোকজন গিয়ে আহাদের বাড়ি ঘেরাও করে। এ সময় আহাদ কিরিচ নিয়ে উপস্থিত লোকজনকে হুমকি দিলে উত্তেজিত জনতা তাকে আটক করে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায় ।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক জানান, ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে মেম্বারকে ঢাকা পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
-এফএস/এমএ