ঘূর্ণিঝড় রেমাল: মোংলা উপকূলে গুরি গুরি বৃষ্টি
Published : Sunday, 26 May, 2024 at 10:27 AM Count : 152
ঘূর্ণিঝড় রেমাল'র প্রভাবে বাগেরহাটের মোংলা উপকূলে গুটি গুটি বৃষ্টি হচ্ছে। রোববার সকাল থেকে কখনও কখনও বইছে দমকা হাওয়া। বন্ধ রাখা হয়েছে মোংলা বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম। কোনো সাইক্লোন সেল্টারে এখনও মানুষ আশ্রয় নেয়নি। কেউ কেউ ঘূর্ণিঝড় আতংকে থাকলে অনেকে স্বাভাবিকের মতো তাদের কাজে নেমে পড়েছেন।
এদিকে, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ ও মোংলা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আলাদা দুটি কনট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ওইসব কন্ট্রোল রুম থেকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে।
শনিবার রাতে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেওয়ার পর মোংলা বন্দরে নিজস্ব এ্যালার্ট-৩ জারি করে বন্দরের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে কর্তৃপক্ষ।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শাহীন রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতির কবল থেকে রক্ষায় সকল ধরনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত তামান্না জানান, ১০৩টি সাইক্লোন সেল্টার প্রস্তুত করে সেখানে মানুষদের আশ্রয় নিতে মাইকিং করা হয়েছে রাতভর। তবে কেউ রাতে সাইক্লোন সেল্টারে অবস্থান নেয়নি। ১৩২০ জন সেচ্ছাসেকবক এখনও মাঠে কাজ করছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব দেখা গেলে প্রয়োজনে ঝুকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের যে করে হোক সাইক্লোন সেল্টারে নেওয়া হবে। আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রিতদের জন্য পর্যাপ্ত শুকনো খাবার মজুত রাখা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে মেডিকেল টিম।
ঘূর্ণিঝড়ে সবচেয়ে ঝুকিপূর্ণ মোংলা জয়মনি এলাকার বাসিন্দা মো. ফেরদাউস আহম্মেদ জানান, রাতে অনেক মাইকিং করা হয়েছে। কিন্তু কেউই আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়নি। তবে আশ্রয় কেন্দ্রগুলো খুলে রাখা হয়েছে।
এদিকে, নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। সুন্দরবনে দায়িত্বরত বন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নিরাপদে অবস্থান নিয়েছেন।
-জেইউ/এমএ