গুলিশাখালী ইউনিয়নকে ভাগ করার দাবিতে মানববন্ধন
Published : Saturday, 25 May, 2024 at 3:23 PM Count : 268
উন্নয়ন ও সর্বসাধারণের পর্যাপ্ত সুবিধা প্রাপ্তির স্বার্থে বরগুনার আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নকে ভাগ করে (গুলিশাখালী, আঙ্গুলকাটা-খেকুয়ানী) দুটি ইউনিয়ন ইউনিয়ন করার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার খেকুয়ানী বাজারে আয়োজিত কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন গুলিশাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুস সোবহান লিটন।
এ সময় বক্তব্য রাখেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ওহাব মুন্সী, মো. মামুন মৃধা, মনির তালুকদারসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
বক্তারা বলেন, গুলিশাখালী ইউনিয়ন পাঁচ হাজার ৫৯ বর্গ কি.মি. ছয়টি মৌজা ১৪টি গ্রাম নিয়ে গঠিত বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার। গুলিশাখালী ইউনিয়ন ভাগ করে গুলিশাখালী, আঙ্গুলকাটা-খেকুয়ানী নামে দুটি ইউনিয়ন ইউনিয়ন করার দাবি জানিয়েছেন ইউনিয়নের বাসিন্দারা। বিশাল এ ইউনিয়নটিতে পর্যাপ্ত সেবা, বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিতে ইউপি চেয়ারম্যান দ্বিধায় পড়ে যান, কাকে বঞ্চিত করবেন আর কাকে দেবেন। অনেক সময় ভিজিডি বা বিভিন্ন কার্ড বিতরণেও দ্বিধায় পড়তে হয় আবার বঞ্চিত এক শ্রেণির মানুষের গালি বা বদনামও শুনতে হয় জনপ্রতিনিধিদের। আর এরই প্রেক্ষিতে ইউনিয়নের সচেতন মহলসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গের দাবি গুলিশাখালী ইউনিয়নকে ভেঙ্গে আলাদা দুটি ইউনিয়ন করলে জনগণের সুবিধা বা সেবা প্রাপ্তির হার বেড়ে যাবে।
গুলিশাখালী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি মো. আব্দুস সোবহান লিটন বলেন, গুলিশাখালী ইউনিয়ন চার দিকে নদী বেষ্টিত একটি বড় ইউনিয়ন এই ইউনিয়নটিতে একজন চেয়ারম্যানের পক্ষে নাগরিক সেবা দেয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে। উন্নয়নের স্বার্থে ইউনিয়নটিকে ভাগ করে দুটি ইউনিয়ন করলে প্রধানমন্ত্রীর জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সুবিধা হবে।
আমতলীর গুলিশাখালী ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাড. এইচ এম মনিরুল ইসলাম বলেন, ইউনিয়ন ভাগ হলে ভালো হয়।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফুল আলম বলেন, জনসাধারণের দাবি যাচাই বাছাই করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।
বরগুনা জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, জনসাধারণের এ দাবির কথা যাচাই বাছাই করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
-এসকে/এমএ