সাভারে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে চাচাতো ভাইকে কুপিয়ে হত্যা
Published : Friday, 24 May, 2024 at 11:56 AM Count : 150
সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে চাচাতো ভাইয়ের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জাহের আলী ওরফে রমজান (৩৫) নামের এক যুবক খুন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল থেকে নিহতের মরদেহটি উদ্ধার করে সাভার মডেল থানা পুলিশ। নিহতের মাথায় তিনটি ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। এর আগে বিরুলিয়া ইউনিয়নের কাকাবো বালুর মাঠে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।
নিহত রমজান সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের কাকাবো মসজিদ মার্কেট মহল্লার শওকত আলীর ছেলে। তিনি কৃষিকাজ করতেন। এঘটনায় প্রতিপক্ষরা লোকেরা পরিবারের সদস্যদেরকেও বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
নিহতের স্ত্রী সোহানা বেগম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমার স্বামীর চাচাতো ভাই রহিমদের সঙ্গে ১৮ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। বিষয়টি নিয়ে কয়েকবার এলাকায় সালিশ হয়েছে। সেখানে চেয়ারম্যানসহ আরও বিচারকরা আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছেন। আজ ওই জমিতে মাটি ভরাট করতে গেলে প্রতিবেশী রহিম, ইউনুস, অপু, দিপু, মানিক, ইউসুফ, আজিজসহ অজ্ঞাত আরও ৫/৭ জন তার উপর হামলা করে। একপর্যায়ে তাদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমার স্বামীর মাথা ও সারা শরীরে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে আমরা তাকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেলে নেওয়ার জন্য চেষ্টা করি। এ সময় রাস্তায় আমাদের গতিরোধ করে আবারও পরিবারের সদস্যদেরকেও মারধর করেছে রহিম, ইউনুসরা। কোনোভাবে জান বাঁচিয়ে আমার স্বামীকে এনাম মেডিকেলে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তারা আমার স্বামীকে সময়মত হাসপাতালেও নিতে না দেয়ার কারনে তার মৃত্যু হয়েছে। আমি হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।
নিহত রমজানের চাচাত বোন সানজিদা বলেন, রহিমের সাথে আমাদের আগেও জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। সেই বিষয়ও থানা পুলিশ পর্যন্ত গড়িয়েছিল। আজকে একটি জমিতে বালি ভরাট করতে গিয়েছিল রমজান ভাই। সেখানে তারা এসে দাবি করে এই জমিতে তাদেরও ভাগ আছে। পরে বাঁশ ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করে তারা। হামলার সময় রহিমের পরিবারের প্রায় ৮-১০ জন উপস্থিত ছিল। আমার বাবাও হাসপাতালে ভর্তি। আমরা এই হত্যার বিচার চাই।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ্ জামান বলেন, ‘জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় মামলার দায়েসহ হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে। খুব দ্রুতই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
ওএফ/এসআর