কারখানার ভিতরে জামায়াতের কার্যক্রম, তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিককে হুমকি
Published : Thursday, 23 May, 2024 at 6:12 PM Count : 655
সাভারে একটি তৈরী পোশাক কারখানার ভিতরে রাজনৈতিক দল জামায়াতের কার্যক্রম পরিচালানার অভিযোগ উঠেছে নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার আলাইয়ারপুর ইউনিয়নের একাব্বরপুর গ্রামের মৃত মুকবুল আহাম্মদের ছেলে আবুল বাশারের বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন ধরে আত্মগোপনে থেকে কারখানাটির হিসাব শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অভিযুক্ত আবুল বাশার।
সম্প্রতি সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর দেয়া এক অভিযোগে জামায়াত নেতা আবুল বাশার ও তার ভাই আবুল খায়েরের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন উপজেলার সদর ইউনিয়নের চাপাইন গ্রামের হাসান মন্ডল।
হাসান মন্ডলের লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার আলাইয়ারপুর ইউনিয়নের একাব্বরপুর গ্রামের মৃত মুকবুল আহাম্মদের ছেলে আবুল বাশার ও আবুল খায়ের নোয়াখালীতে থাকাবস্থায় জামায়েত ইসলামী সংগঠনের মূল হোতা ছিলেন। সেখানে সরকার বিরোধী কর্মকান্ডে অংশ নিয়ে গাড়ি ভাংচুর ও গাড়ি পুড়ানোর কারনে মামলার আসামী হয়। ওই মামলায় গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি হলে আত্বগোপন করে বর্তমানে সাভারের চাপাইন এলাকায় বসবাস করছেন তারা। আবুল বাশার রাজফুলবাড়িয়া একেএইচ নিটিং এন্ড ডায়িং লিমিটেড কারখানার হিসাব শাখায় চাকুরী করে চাপাইন এলাকায় একটি বিলাশবহুল ৬ তলা ভবন নির্মান করেছেন। তিনি তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের র্শীর্ষ বিএনপি ও জামায়াত নেতাদের নিয়ে কারখানাটির ভিতরে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি তার নিজ বাসভবনে সংগঠনের কার্যকম পরিচালনা করছেন।
সংগঠনের টাকায় ইতিমধ্যে তিনি ধামরাই, সিংগাইর, সাভার থানার চাপাইনসহ বিভিন্ন এলাকায় কয়েকশত বিঘা জমি ক্রয় করেছেন। তাছাড়া মানিকগঞ্জের গোলরায় একটি সুতার কারখানা করেছেন। আবুল বাশার ও তার ভাই আবুল খায়েরের সহায়তায় মালেয়শিয়া, ভারতে কোটি কোটি কোটি টাকা পাচার করিয়াছেন। তাদের কারনে দেশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তাই জরুরী ভিত্তিতে আবুল বাশার ও আবুল খায়েরের আয়ের উৎসসহ কিভাবে টাকার পাহাড় বানিয়েছে তা খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান।
সাভার উজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর করা লিখিত অভিযোগটির অনুলিপি দেয়া হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন, ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, র্যাব-৪, সাভার মডেল থানা ও সাভার প্রেসক্লাবে।
অভিযোগের বিষয়ে জামায়াত নেতা আবুল বাশারের কাছে জানতে তার প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করা হলে তিনি দেখা করেননি। উল্টো কারখানাটির নিরাপত্তা কর্মী ও নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান রাফিকে দিয়ে সাংবাদিকদের সাথে খারাপ আচরন এবং লাঞ্চিত করেন।
তবে আবুল বাশারের ভাই আবুল খায়ের দাবি করেন আমরা অনেক আগে থেকেই ঢাকায় থাকি। আমাদের বিরুদ্ধে কারা মামলা দিয়েছে সেটা জানিনা। এছাড়া জামায়াতের রাজনীতি করলে সমস্যার কি আছে? জামায়াতো নিষিদ্ধ সংগঠ না। আমাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটির বিচার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আমরা বর্তমানে জামিনে আছি এবং নিয়মিত হাজিরাও দিচ্ছি।
কারখানার ভিতরে জামায়াতের কার্যক্রম চালানোর বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থপনা পরিচালাক মোঃ আবুল কাশেম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে অসদাচরন করেন। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার হুমকি দেন এবং নিজেকে ক্ষমতাবান দাবি করে সাভার থানার ওসির কাছ থেকে তার সম্পর্কে জেনে নিতে বলেন।
জানতে চাইলে সাভার মডেল থানার (ওসি) শাহ জামান বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে আবুল কাশেম নামে কাউকে চিনিনা। যদি কারও বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট থাকে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।