ঝিনাইদহের শৈলকুপায় উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বচন পরবর্তী সহিংসতা হয়েছে।
বুধবার (২২ মে) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের বন্দেখালী গ্রামে বিজয়ী ও পরাজিত প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের মাঝে এ সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এঘটনায় উভয় পক্ষের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ৩০টি বাড়ি ভাংচুর করে। এতে ৫ জন আহত হয় বলে জানা যায়। আহত ব্যক্তিদের শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, গত ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে শৈলকুপা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী মোস্তফা আরিফ রেজা মন্নু বিজয়ী হয় এবং পরাজিত হন দোয়াত কলম মার্কার প্রার্থী শামীম হোসেন মোল্লা। এই নির্বাচনে ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থক বন্দেখালী গ্রামের আতিয়ার রহমান ও পরাজিত প্রার্থীর সমর্থক আবুল মেম্বারের সামাজিক লোকদের মাঝে এ সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের ৩০টি বাড়ি ভাংচুর করা হয় সেইসাথে ৫ জন আহত হয়।
সংঘর্ষে দোয়াত কলম মার্কার সমর্থক বন্দেখালী গ্রামের সুপি আলী, মিন্টু আলী, রাকিব বিশ্বাস, রুহুল হোসেন, সিদ্দিক শেখ, আরব আলী, আসমত আলী, আহাম্মদ আলী, লাভলু শেখ ও হুজুর আলী বাড়ি ভাংচুর করা হয় এবং আকমল আলী, হাফিজুল আলী, কপিল উদ্দিন, আলাউদ্দিন বিশ্বাস গুরুতর আহত হয়।
এছাড়া মোটরসাইকেলের সমর্থক একই গ্রামের শরিফুল ইসলাম, আবু দাউদ, হাশেম আলী মাষ্টার, শাহাদত আলী, আজব মন্ডল, আতিয়ার রহমান, মতিয়ার রহমান, মজিবর রহমান, আঃ রাজ্জাক, রিপন, শরিফুল ইসলাম, স্বপন, জিয়ারুল, আলম বিশ্বাস, রিপন আলীর বাড়ি ভাংচুর হয়।
দোয়াত কলমের সমর্থক আবুল হোসেন বলেন, আমরা দোয়াত কলমের ভোট করেছি। ভোটে আমরা পরাজিত হওয়ায় আজ সকালে আমার নিরিহ লোকদের বাড়ি ভাংচুর করে সেইসাথে ৫ জন কে আহত করে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
মোটরসাইকেল সমর্থক বন্দেখালী গ্রামের আতিয়ার রহমান বলেন, আমরা মোটরসাইকেল মার্কার সমর্থক। আমরা মোটর সাইকেল মার্কায় ভোট দেওয়ায় আজ সকালে দোয়াত কলমের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এসে আমাদের বাড়ি ঘর ভাংচুর করে।
শৈলকুপা থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম চেীধুরী বলেন, শৈলকুপার বন্দেখালী গ্রামে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনের বিজয়ী ও পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষ হয়। এতে কিছু বাড়ি ভাংচুর হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি বর্তমান শান্ত আছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অপরাধীদের খুঁজে বের করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখন পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি।
এসএমআরইউ/এসআর