কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচন মঙ্গলবার। নির্বাচনে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে চার জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে আলোচনায় আছেন তিন জন। তাদের মধ্যে দু'জন কোটিপতি।
সব প্রার্থীরাই ভোটের জন্য মাঠঘাট চষে বেড়াচ্ছেন। এবারে কে পাবেন রাজারহাটের সিংহাসন তা নিয়ে ভোটারদের মাঝে চলছে তুমুল আলোচনা। তবে সবচেয়ে বেশী শোনা যাচ্ছে বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও রংপুর বিভাগীয় মহানগর আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী বাপ্পি (মোটরসাইকেল) ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুনুর মো. আক্তারুজ্জামানের (আনারস) নাম।
অপর দু'জন হলেন, সাব-রেজিষ্টার আবু তালেব সরকার (কাপ পিরিচ) ও আওয়ামী লীগ নেতা এ টি এম ফিরোজ মন্ডল (ঘোড়া)। সম্পদের দিক থেকে তারা দু'জন কোটিপতি।
নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামায় জানা যায়, বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বাপ্পি শিক্ষায় বিএসএস ডিগ্রীধারী। তার কৃষি খাতে আয় ৪০ হাজার টাকা, তিনি করযোগ্য সম্মানী ভাতা পেয়েছেন তিন লাখ ৬০ হাজার টাকা, তার নগদ টাকা ১৬ লাখ ৫৩ হাজার ৯৩ পয়সা, তার ব্যাংকে জমা নয় হাজার ২৯৮ টাকা, দুই লাখ টাকার মোটরসাইকেল ও উপহারের পাঁচ ভরি স্বর্ণ, দুই লাখ ৩০ হাজার টাকার টিভি, ফ্রিজ ও খাট পালংসহ আসবাপত্র, তার স্ত্রীর নামে ১০ শতক জমি যার মূল্য এক লাখ ৩০ হাজার টাকা। তার পৈত্রিক সম্পত্তি ২৪৯ একর।
অপরদিকে, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুনুর মো. আক্তারুজ্জামান শিক্ষায় এইচএসসি পাস। তিনি ব্যবসায়ী। তবে কি ব্যবসা করেন তা উল্লেখ নেই। তার কৃষিখাতে আয় এক লাখ ৫০ হাজার টাকা, পারিবারিক আয় আরও ৫০ হাজার টাকা, নগদ জমা পাঁচ লাখ ৬০ হাজার টাকা, এক লাখ ২৫ হাজার টাকার একটি মোটরসাইকেল ও উপহারের সাত ভরি স্বর্ণ, দেড় লাখ টাকার টিভি-ফ্রিজ, খাট-পালং, পৈত্রিক সূত্রে এক একর ৫ শতক ও ক্রয় সূত্রে এক একর ১৫ শতক জমি রয়েছে। তার দুই লাখ টাকার একটি টিন শেড বাড়ি রয়েছে।
এদিকে, সাব-রেজিষ্টার আবু তালেব সরকার শিক্ষায় বিকম ডিগ্রীধারী। তার কৃষি খাতে আয় ৭৫ হাজার টাকা, চাকুরি চলাকালীন সময়ে উত্তোলন করেন সাত লাখ ৪৬ হাজার ৭৯০টাকা, সঞ্চয়পত্রে নয় লাখ ৬০ হাজার টাকা ও ১৩ তোলা স্বর্ণ, ৬৯ হাজার টাকার টিভি-ফ্রিজ ও খাট পালং রয়েছে। পৈত্রিক সূত্রে ৮ একর ২৫ শতক, ক্রয় সূত্রে দুই শতক ও হেবা সূত্রে ৩১ শতক জমি, এর মধ্যে ৮ শতক জমির উপর বাড়ি ও ঢাকায় ও রাজারহাট বাজারে ফ্লাট বাড়ি রয়েছে।
এছাড়া, আওয়ামী লীগ নেতা এ টি এম ফিরোজ মন্ডল বিকম ডিগ্রীধারী। তিনি একজন ব্যবসায়ী বলে তার হলফনামায় উল্লেক করেছেন। কৃষিখাতে আয় নেই। নগদ পাঁচ লাখ ২০ হাজার, ব্যাংকে জমা এক কোটি ৩৫ লাখ ৫৬১ টাকা ২২ পয়সা ও ১০ লাখ টাকার শেয়ার, ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকার একটি জিপ গাড়ী, তার স্ত্রীর চার ভরি স্বর্ণসহ নিজের ও স্ত্রীর তিন লাখ ৯৯ হাজার ৫০০ টাকার টিভি, ফ্রিজ, খাট-পালং রয়েছে। তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন সিআর মামলা চলমান রয়েছে।
পিএম/এমএ