সাভারে নারী পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণ, প্রতিবেশী যুবক গ্রেপ্তার
Published : Tuesday, 14 May, 2024 at 8:20 PM Count : 99
সাভারে স্বামী নাইট ডিউটিতে থাকার সুযোগে ঘরে ঢুকে এক নারী পোশাক শ্রমিক ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এঘটনায় অভিযুক্ত সুমন (৩৫) নামে এক সবজী বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার দিবাগত রাতে পৌরসভার মজিদপুর মহল্লায় এ ধর্ষনের ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তারকৃত সুমন সাভারের মজিদপুর জমিদারবাড়ি সংলগ্ন নাইমের বাড়িতে ভাড়া থেকে সবজি বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ভুক্তভোগী নারী শ্রমিকের মা বলেন, গত দুই মাস ধরে আমরা পরিবার নিয়ে নাইমের বাড়িতে ভাড়া থাকি। আমার মেয়ে ও স্বামীও একই বাসায় থাকে। অভিযুক্ত সুমন আমাদের পাশেই ভাড়া থাকতো এবং রুমের ভেতর মাদক সেবন করতো। আমার মেয়ে তাকে বাসায় মাদক সেবন করতে নিষেধ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে গতকাল রাতে মেয়ের জামাই নাইট ডিউটে থাকার সুযোগে কৌশলে রুমে প্রবেশ করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এঘটনায় আমরা থানায় মামলা করলে পুলিশ এসে সুমনকে গ্রেপ্তার করে।
সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) নয়ন কারকুন বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় প্রতিবেশী সবজি বিক্রেতা সুমনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ভুক্তভোগী নারীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে টানা এক সপ্তাহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে এবং পরবর্তীতে প্রায় ১৫ দিন হাসপাতালটির ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টাওে চিকিৎসা শেষে মঙ্গলবার আশুলিয়ার বাসায় ফিরেছে।
ধর্ষণে মেয়েটির যৌনাঙ্গ ছিঁড়ে যাওয়ায় অস্ত্রোপচার করতে হয়। অস্ত্রোপচারের পর রক্তচাপ কমে যাওয়াসহ নানা জটিলতা দেখা দিলে তাঁকে হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। মেয়েটির অবস্থা এতটাই খারাপ হয়েছিল যে আইসিইউতে থাকা অবস্থায় তাঁর ‘ডাইং ডিক্লারেশন’ বা মৃত্যু-পূর্ব জবানবন্দি নিয়ে রেখেছিলেন ম্যাজিস্ট্রেট।
এর আগে ধর্ষণের অভিযোগে গত ২৪ এপ্রিল রাতেই ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা আশুলিয়া থানায় মামলা করেন। মামলা পর আসামির পক্ষ ভুক্তভোগীর পরিবারকে বিভিন্নভাবে ফোন করে, মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দেয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক নূর মোহাম্মদ খান বলেন, ধর্ষনের ঘটনায় গত ২৫ এপ্রিল আসামিকে গ্রেপ্তার করে দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আসামি ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে এবং প্রথমিক তদন্তেও ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। পরে তাকে আদালতে তুলা হলে বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
ওএফ/এসআর