সোনারগাঁওয়ে বাড়ির সবাইকে হাত পা বেঁধে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতি, আহত ৬
Published : Tuesday, 7 May, 2024 at 7:46 PM Count : 227
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে বাড়ির সবাইকে হাত পা বেঁধে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ১ বাড়িতে ডাকাতি সংগঠিত করে মুখোশধারী ডাকাতদল। তারা স্বর্ণলংকার, মোবাইল সেট, নগদ টাকাসহ প্রায় আড়াই লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার জামপুরে ইউনিয়নের বশিরগাঁও গ্রামে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
ডাকাতির বাধা দেয়ায় ডাকাতরা বাড়ির গৃহকর্তাসহ ৬ জনকে কুপিয়ে জখম করে। এ ঘটনায় বাড়ির গৃহকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদি হয়ে মঙ্গলবার বিকেলে সোনারগাঁও থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে।
থানায় দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, উপজেলার জামপুরে ইউনিয়নের বশিরগাঁও গ্রামের মো. জাহাঙ্গীর আলম বাড়িতে গরু পালন করে ও রিকসা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। তার ছেলে সাব্বির আহম্মেদ রূপগঞ্জের গাউছিয়ায় বাস কাউন্টারে চাকুরী করেন। সাব্বির তার স্ত্রীকে নিয়ে গাউছিয়ায় বসবাস করে। মো. জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী গত কয়েকদিন ধরে অসুস্থ থাকায় তার ছেলে ও ছেলের বউ বশিরগাঁও গ্রামের তাদের বাড়িতে গত সোমবার তার স্ত্রীকে দেখতে আসেন। সোমবার রাতে বাড়ির সবাই খাওয়া দাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়লে মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ১০/১২ জনের মুখোশধারী ডাকাতদল সিমেন্টের পিলার দিয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে। এসময় বাড়ির সবাই ঘুম থেকে জেগে উঠলে সবাইকে হাত পা বেঁধে ছেনা ও রামদা দিয়ে জিম্মি করে ফেলে।
পরে ডাকাতদল টাকা ও স্বর্ণলংকার দিতে বললে তাদের ডাকাতি কাজে বাধাঁ দিলে ডাকাতরা বাড়ির গৃহকর্র্তা জাহাঙ্গীর আলম (৫৫), অসুস্থ গৃহকর্তী হাওয়া বেগম (৪৫), ছেলে সাব্বির আহমেদ (২০), ছেলের বউ লামিয়া আক্তার (১৮), মেয়ে ছানিয়া আক্তার (১৬) ও নাদিয়া আক্তার (১৫) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।
ডাকাতদল প্রায় ২ ভরি ওজনের স্বর্ণলংকার , ৪টি মোবাইল সেট, নগদ ১৬ হাজার টাকাসহ প্রায় আড়াই লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে বাড়ির সকলেই আহত অবস্থায় স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেয়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার বিকেলে বাড়ির গৃহকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদি হয়ে সোনারগাঁও থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে।
সোনারগাঁও থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান পিপিএম জানান, থানায় একটি অভিযোগ নেয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এইচএমআর/এসআর