For English Version
রবিবার ৬ অক্টোবর ২০২৪
হোম

কতৃপক্ষের উদাসীনতায় দৌলতদিয়া ফেরিঘাট বিলীনের পথে

Published : Monday, 6 May, 2024 at 6:33 PM Count : 100


গত এক সপ্তাহ আগে যখন নতুন করে ভাঙন শুরু হলো তখন সবাইকে অনুরোধ করলাম কিছু বস্তা ফেলে এই জায়গাটা বাধঁতে কিন্তু কোন কথাই শুনলো না এবং কোন অনুরোধেই কাজ হলো না। আজকে রাস্তা ভেঙে গেলো দোকান বাড়ি ভাঙার পথে বড় বড় চাপ নিচ্ছে আমাদের কথা কেউ শোনে না গত কয়েক দশকে আমরা সবাই চার পাচবার করে নদী ভাঙতে ভাঙতে এখন অসহায় হয়ে পড়েছি যাবার জায়গা নাই কথা বলছিলেন মোস্তফা শেখ।

এ রাস্তা দিয়েই চলাচল করে চার পাঁচশ ছাত্র ছাত্রী সহ স্থানীয় হাজার খানেক মানুষ। এদের অধিকাংশ লোক কয়েক ভাঙা দিয়ে এখানে এসেছে তারা সহায় সম্বলহীন। নদীতে সব চলে গেছে। অনেকেই আশায় আছে ঘাটে মহা প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে তাদের জমির টাকা নিয়ে তারা অন্যত্র বাড়ি ঘর করবে। কিন্তু দিনের পর দিন কোন কাজ হচ্ছে না। শুধু প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি শুনতে শুনতে তারা আজ বড় অসহায় বলে জানান।

রবিবার সকালে সরজমিনে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ দৌলতদিয়া ছয় নম্বর ফেরিঘাটে গিয়ে দেখা যায়, বড় বড় চাপ পড়ে নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে এলাকার চলাচলের রাস্তা। পাঁচ ছয় ফুট দুরেই একটি দোকান সরানোর কাজ করছে অনেকেই। দশ গজ দুরেই শতশত বাড়ি যারা আতংক নিয়ে এসে দাঁড়িয়েছে ভাঙন  এলাকায়। পদ্মা পাড়ে দাড়ানো মুখ গুলো হাজারো দুঃচিন্তা নিয়ে আগামীর প্রহর গুনছে।

দোকান সরানোর কাজে ব্যাস্ত আনোয়ার হোসেন বলেন, চারপাঁচ দিন আগে যখন ভাঙন শুরু হলো তখন বিআইডব্লিউটিএ এর কতৃপক্ষ সহ ইউএনও স্যার, চেয়ারম্যান সবাই এসে এখানে বস্তা ( জিওব্যাগ) ফেলানোর কথা বললো কিন্তু তারা ফেললো না এখন দোকান পাশার সহ আমাদের বাড়িঘর ভেঙে নিয়ে যাচ্ছে। তারা শুস্ক মৌসুমে কোন কিছুই করে না। স্রোতের সময় বস্তা ফেললে সেগুলো কোন কাজেই আসে না। এবং তার হিসাব থাকে না।

সভাপতি বাংলাদেশ মোটর চালক লীগ রাজবাড়ী জেলা শাখার সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন তপু বলেন, প্রতিশ্রুতি দিতে দিতে দৌলতদিয়া ঘাটের বেশির ভাগ অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে একদিন হয়তো এই ঘাটের অস্তিত্ব থাকবে না। দিনের পর দিন মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। আমরা এখন আর এগুলো কিছুই চাইনা নদী শাসন করার জন্য সরকার আমাদের যে সমস্ত বাড়ি ঘর সরকার একুয়ার করেছে টাকা পয়সা দিলে সবাই অন্যত্র চলে গিয়ে বাড়িঘর করতো। সবসময় শুনি এই হচ্ছে এই হবে।

দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মন্ডল বলেন, প্রয়োজনের সময় কোন কাজ করছে বিআইডব্লিউটিএ কতৃপক্ষ তারা চারপাঁচ দিন আগে যখন ভাঙন শুরু হলো তখন যদি পদক্ষেপ নিতো তাহলে আজ এই ভাঙনের মুখে পড়তো হতো। মৃত মানুষের সামনে খাবার নিয়ে রেখে দিলে যেমন লাভ নেই তেমনি ভেঙে নিয়ে যাওয়ার পর জিওব্যাগ ফেলে ও কোন লাভ নেই। দিনের পর দিন ঘাট ভেঙে যাচ্ছে শত-শত মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ছে। সরকারের কোন প্রকল্প এখানে বাস্তবায়ন হচ্ছে না। নদী ভাঙনে অসহায় মানুষ গুলোর যাওয়ার কোন জায়গা নাই। কতৃপক্ষের দ্রুত এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। 

নির্বাহী প্রকৌশলী আরিচা অঞ্চল জহিরুল ইসলাম বলেন, আমরা এই প্রকল্পের জন্য ফাইল ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। চেয়ারম্যান সাহেব দেশে ছিলেন না আজ আসছেন আমাদের প্রধান প্রকৌশলী তার সাথে যোগাযোগ করে ফান্ডের ব্যবস্থা করবো। জরুরি ফান্ডের ব্যাপারে বলেন, দুই বছর আগে আমরা জরুরি অবস্থায় কাজ করে সমন্বয় করে নিতাম কিন্তু এখন সেই অবস্থা নেই। আমরা চেষ্টা করছি খুব দ্রুত সেখানে কাজ করার। ইতিমধ্যেই আমরা সংশ্লিষ্ট সকলের সাথেই কথা বলেছি।

এসআই/এমবি

« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,