For English Version
রবিবার ৬ অক্টোবর ২০২৪
হোম

রসুনের মধ্যে সাথী ফসল চাষে সমৃদ্ধ নাটোরের কৃষক

Published : Sunday, 21 April, 2024 at 7:23 PM Count : 224



রসুনের মধ্যে সাথী ফসল আবাদ করে বাড়তি আয় করছে উত্তরের জেলা নাটোরের গুরুদাসপুর,বড়াইগ্রাম ও সিংড়ার  কৃষকরা। এছাড়াও লালপুর, বাগাতিপাড়া ও নলডাঙ্গাতেও স্বল্প পরিসরে এই আবাদ হয়ে থাকে। দেশের মোট রসুন উৎপাদনের প্রায় ৩০ শতাংশই উৎপাদন হয় চলনিবল অধ্যুষিত নাটোরে। এবারও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পরিমাণ জমিতে আবাদ হয়েছে এ ফসলের। সাথী ফসল চাষে পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি বিভাগ।

সরেজমিনে দেখা যায়. সাদা সোনা খ্যাত রসুন বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর কোনো রকম চাষ ছাড়াই কাদাতে রসুন রোপন করেন নাটোরের কৃষকরা। সাথে রোপন করেন সাথী ফসল তরমুজ, বাঙ্গী, কুমড়া, বিলাতি আর খিড়া। মসলা জাতীয় ফসল রসুন তোলার পর পরই একের পর এক সাথী ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত হয়ে পরেন চাষিরা। গত বছর রসুন ও সাথী ফসলের দাম ভালো পাওয়ায় এবারও বেশি করে আবাদ করেছেন কৃষকরা। সার কীটনাশক ও শ্রমিকের মুজুরি বেশি হওয়ায় এবার খরচ হচ্ছে ৯০ হাজার থেকে লাখ টাকা পর্যন্ত। উত্তরের জেলা নাটোরে রসুনের আবাদ বৃদ্ধির পাশাপাশি সাথী ফসল উৎপাদন আরো বৃদ্ধি হওয়ায় স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন জেলায় রফতানী করা হচ্ছে।
কৃষি অফিস সুত্র বলছে, এবছর নাটোর জেলায় রসুনের চাষ হয়েছে ১৮,০০৫ হেক্টর জমিতে। জেলার গুরুদাসপুর,সিংড়া ও বড়াইগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘ দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে রসুনের সাথে চাষ হচ্ছে সাথী ফসল। এ মৌসুমে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবং সময়মত সার ও বীজ  প্রয়োগ করায় রসুনের সাথে সাথী ফসলের বাম্পার ফলন হয়েছে। দামও পাচ্ছেন বেশ ভালো।

গুরুদাসপুর, বড়াইগ্রাম ও সিংড়ার বেশ কিছু কৃষকের সাথে কথা বলে জানাযায়, বর্তমানে প্রতি মণ রসুনের বাজার মুল্য ৪ হাজার থেকে ৬ হাজার। বিঘা প্রতি রসুনের ফলন হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ মণ। খিরার পরে  প্রতি একশত বাঙ্গি বিক্রি হচ্ছে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা। দুই দিন পর পর প্রতি বিঘা জমি থেকে বাঙ্গী উঠছে ২৫০ থেকে ৩০০। মিষ্টি কুমরা প্রতি পিচ ৫০ থেকে ৮০ টাকা। প্রতিদিন পাইকারি ব্যবসায়ীরা কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি বাঙ্গি কিনে নিয়ে দেশের বড় বড় বিভাগীয় শহরে বিক্রি করছেন। 

গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের বিন্যাবাড়ি গ্রামের কৃষক খয়ের প্রামানিক জানান, সাধারণত রসুন লাগানোর পরে মাঘ মাসে জমিতে বাঙ্গি, খিরা, তরমুজ ও বিলাতী লাউয়ের বীজ লাগানো হয়। চৈত্র মাসে খিরা বিক্রি হলেও বৈশাখ মাসে বাঙ্গি ও তরমুজ খাওয়ার উপযুক্ত হয়। রসুনের মধ্যে সাথী ফসল চাষে তেমন খরচ হয় না। কিন্তু লাভের পরিমান বেশি হয়। 

নাজিরপুর ইউনিয়নের বেড়গঙ্গারামপুরের রশিদ মন্ডল বলেন, এবছর আমি এক একর জমিতে রসুনের সাথে সাথী ফসল হিসেবে বাঙ্গীর আবাদ করেছিলাম। মোট খরচ হয়েছে প্রায় তিন লাখ টাকা। শুধু বাঙ্গীই বিক্রি করেছি একমাসে ২ থেকে ৩ লাখ টাকার। রসুন এখনো বিক্রি করিনি। তবে বর্তমান বাজার মূল্যে রসুন বিক্রি করলে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা হবে। 

নাটোর জেলা কৃষি কর্মকর্ত আব্দুল ওয়াদুদ জানান, এবছর নাটোর ১৮,০০৫ হেক্টর জমিতে রসুনের আবাদ হয়েছে। সেই সাথে সাথী ফসল হিসেবে রসুনের মধ্যে তরমুজ, বাঙ্গী, কুমড়া, বিলাতি আর খিড়াও চাষ হয়েছে। ঠিক মতো নজরদারী ও পরামর্শ দেওয়ার নাটোর কৃষকরা লাভবান হচ্ছে। ন্যায্য মুল্য পেয়ে তারা এখন অনেকটাই সমৃদ্ধ।

এসআর


« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,