সাভারে তেলবাহী লরি উল্টে অগ্নিকাণ্ড, নিহত বেড়ে ৪
Published : Wednesday, 3 April, 2024 at 12:56 PM Count : 179
সাভারের হেমায়েতপুরে জ্বালানি তেল ভর্তি লরি উল্টে পাঁচ গাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ আরও দু'জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট চার জনের মৃত্যু হলো।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে হেলাল হাওলাদারের মৃত্যু হয়। আর রাত ১টা ২০ মিনিটে সাকিবের মৃত্যু হয়।
বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক মো. তরিকুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
নিহতরা হলেন- ট্রাকের চালক হেলাল হাওলাদার ও তার সহকারী মো. সাকিব (১৫)। সাকিবের শরীরের ১০০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছিল। সাকিব বরগুনা সদর উপজেলার মো. আবেদ আলীর ছেলে। ট্রাকচালক হেলালের সঙ্গে বরগুনা থেকে তরমুজ নিয়ে গাজিপুরের দিকে যাচ্ছিল তারা।
নিহত সাকিবের ভাই নাইম বলেন, আমার বাবা খাগড়াছড়িতে অটোরিকশা চালান। আর আমি পাইলিংয়ের কাজ করি। অভাবের সংসার হওয়ায় গত চার মাস ধরে ট্রাকের হেলপার হিসেবে কাজ নেয় সাকিব। হেলাল হাওলাদারের ট্রাকে বরগুনা থেকে তরমুজ লোড দিয়ে গাজিপুর যাচ্ছিল সে। গতকাল সকালে জানতে পারি সাভারের দুর্ঘটনায় সাকিব দগ্ধ হয়ে বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছে। হাসপাতালে গিয়ে দেখি আমার ভাইয়ের সারা শরীর পুড়ে গেছে। অবশেষে গত রাতে তার মৃত্যু হয়। এর আগে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ট্রাকের চালক হেলাল হাওলাদারেরও মৃত্যু হয়।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, গতকাল সকালে দগ্ধ অবস্থায় আট জনকে বার্ন ইউনিটে নেওয়া হয়। তাদের মধ্যে হাসপাতালে আসার আগেই নজরুল ইসলাম নামে একজনের মৃত্যু হয়। বাকি সাত জনের মধ্যে হেলাল ও সাকিবের শরীরের ১০০ শতাংশ পোড়া ছিল। এই দু'জনের মধ্যে ঘটনার দিনই রাত সাড়ে ৯টার দিকে হেলাল হাওলাদারের মৃত্যু হয়। আর রাত ১টা ২০ মিনিটে সাকিবের মৃত্যু হয়।
তিনি বলেন, বর্তমানে যারা চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের মধ্যে মিলন মোল্লার শরীরের ৪৫ শতাংশ, শিশু মীমের শরীরের ২০ শতাংশ, আল আমিনের ১০ শতাংশ, নিরঞ্জনের ৮ শতাংশ, আব্দুস সালামের ৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের চিকিৎসা চলছে।
মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সাভারের হেমায়েতপুরের জোরপুল এলাকার একটি জ্বালানি তেলের ট্যাংকার উল্টে আগুন ধরে যায়। এ ঘটনায় ট্যাংকারের আশপাশে থাকা চারটি ট্রাক ও একটি প্রাইভেটকার পুড়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলেই ইকবাল নামে একজন মৃত্যু হয়। তিনি ট্রাকচালকের সহকারী ছিলেন।
-এমএ