টেকেরহাট-ঘোনাপাড়া মহাসড়কের নির্মাণ কাজে ধীরগতি
ঈদ যাত্রায় এবারও ভোগান্তি
Published : Saturday, 30 March, 2024 at 12:52 PM Count : 132
নানা জটিলতায় টেকেরহাট-গোপালগঞ্জ-ঘোনাপাড়া ৪৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আঞ্চলিক মহাসড়কের কাজ চলছে ঢিমেতালে। রাস্তাটির কোনো কোনো স্থানে ভেঙ্গে ফেলে রাখায় সড়কটির বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দ। ধুলাবালিতে অন্ধকার হয়ে থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এ সড়কে চলাচলরত যাত্রী সাধারণ।
চলতি বছরের জুন মাসে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা সম্ভব হচ্ছেনা। সময় বাড়িয়ে আগামী বছরের জুন মাস পর্যন্ত কাজের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। সড়ক কর্তৃপক্ষ যাত্রী সাধারণের অসুবিধার কথা অবশ্য স্বীকার করেছেন। ফলে এবারের ঈদ যাত্রায়ও এই আঞ্চলিক মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রীদের ভোগান্তি কমছেনা।
ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক হওয়ার আগে টেকেরহাট-গোপালগঞ্জ-ঘোনাপাড়া সড়কটি ছিল যাত্রী সাধারণের যাতায়াতের একমাত্র সড়ক। তখন সড়কটি আঞ্চলিক সড়ক ছিল। এই ৪৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আঞ্চলিক সড়কটি এখন আঞ্চলিক মহাসড়কে রূপান্তর করে ৩৪ ফুট চওড়া করার কাজ চলছে। রাস্তার বিভিন্ন স্থান ভেঙ্গে দীর্ঘদিন ফেলে রাখায় সেখানে বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। নির্মাণাধীন রাস্তার কাজের ধীরগতি থাকায় সড়কে চলাচলকারী যাত্রী সাধারণের ভোগান্তি এখন চরমে পৌঁছেছে।
সড়ক বিভাগ জানিয়েছে, ২০২০ সালের জুনে ৬১২ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এ সড়কটি আঞ্চলিক মহাসড়কে উন্নীতকরণের অনুমোন দেয় একনেক। কিন্তু, দরপত্র আহ্বানসহ নানা জটিলতার কারণে প্রকল্পের কাজ শুরু করতে বিলম্ব হয় এবং কয়েকবার মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়। সড়কের ভেন্নাবাড়ি, চামটাসহ বিভিন্ন এলাকায় জমির মালিকানা দাবি করে বাঁধার সৃষ্টি করায় ওইসব স্থানে নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে।এসব জটিলতার কারনে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ বন্ধ রেখেছে।
ওই সড়কে চলাচলকারী নজরুল ইসলাম, দয়াল রায় জানান, প্রতিদিনই ঘটছে কোনো না কোনো দুর্ঘটনা। বিশেষ করে রোগীদের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। এছাড়া যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে বেগ পেতে হচ্ছে ভ্যান, অটোরিকশাসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চালকদের। এই সড়কে চলাচলে প্রায়ই নষ্ট হচ্ছে তাদের যানবাহনের যন্তাংশ।
গোপালগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আজহারুল ইসলাম বলেন, বর্তমানের কাজের গতি সন্তোষজনক। ইতোমধ্যে ৭০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। তবে কাজ শুরু করতে দেরী এবং বেশ কয়েকটি স্থানে ভূমি অধিগ্রহণসহ নানা জটিলতায় কাজ থেমে ছিল। যে গতিতে কাজ চলছে তাতে ২০২৫ সালের প্রথম দিকে রাস্তাটির কাজ শেষ করা সম্ভব হবে।
নির্মিতব্য আঞ্চলিক মহাসড়কটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করে জনগণকে ভোগান্তির হাত থেকে রেহাই দেবে এমন প্রত্যাশা এই সড়ক ব্যবহারকারীদের।
-এমএইচ/এমএ