রাজশাহী সমাজসেবা কর্মকর্তার অবৈধ সম্পদের খোঁজে দুদক
Published : Thursday, 21 March, 2024 at 5:39 PM Count : 181
দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রাজশাহী জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের তৎকালীন সহকারী পরিচালক ও বর্তমানে রাজশাহী আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক ড. আব্দুল্লা আল ফিরোজের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদক রাজশাহী সমন্বিত জেলার সহকারী পরিচালক খায়রুল বাশার অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিযুক্ত হয়েছেন।
রাজশাহী দুদক সূত্রে জানা যায়, আব্দুল্লা আল ফিরোজের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান চলমান। সেই সঙ্গে আব্দুল্লা আল ফিরোজের স্ত্রী জেসমিন আরা পারভিন, ছেলে জাহিদ বিন আব্দুল্লাহ, রাফিদ বিন আব্দুল্লাহ, মেয়ে ফাতেমা বিনতে আব্দুল্লাহ ও ফাতেহা বিনতে আব্দুল্লাহর নামে কোনো সম্পদ রয়েছে কি না, তারও অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
অনুসন্ধানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের রাজশাহী সমন্বিত জেলার উপ-পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান। তিনি বলেন, দুদকের একজন সহকারী পরিচালকের দায়িত্বে আব্দুল্লা আল ফিরোজের দুর্নীতির অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। অনুসন্ধান পর্ব সম্পন্ন হলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
জানা গেছে, রাজশাহী জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সাবেক সহকারী পরিচালক আব্দুল্লা আল ফিরোজ দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ গড়ে তুলেছেন এমন একটি অভিযোগ প্রাথমিকভাবে আমলে নিয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন কমিশনের অনুসন্ধান ও তদন্ত বিভাগ। অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে ২০২৩ সালের ১১ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয় থেকে আব্দুল্লা আল ফিরোজের দুর্নীতি অনুসন্ধানের ছাড়পত্র দেওয়া হয়। পরে দুদকের সহকারী পরিচালক খায়রুল বাশারকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
অভিযোগের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, আব্দুল্লা আল ফিরোজ রাজশাহী জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত থাকাকালীন বিভিন্ন খাতের বিপুল পরিমাণ অর্থ লোপাট করেন। এছাড়া বিভিন্ন সহায়তা খাতের অর্থও আত্মসাৎ করেছেন এই কর্মকর্তা। দুর্নীতির মাধ্যমে তিনি রাজশাহী মহানগরী ও নিজ জেলা নওগাঁতে বিপুল অবৈধ সম্পদ গড়ে তুলেছেন। বর্তমানে আব্দুল্লা আল ফিরোজ রাজশাহীর তেরখাদিয়া সিটি হাট সড়কের একটি বাড়িতে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। আব্দুল্লা আল ফিরোজ নওগাঁ জেলার সাপাহার উপজেলার তিলনা গ্রামের বাসিন্দা। তার স্ত্রী জেসমিনের বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলায়।
আব্দুল্লা আল ফিরোজ, স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের নামে কোথায় কী পরিমাণ সম্পদ আছে অথবা আদৌ আছে কি না- সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে অনুসন্ধান কর্মকর্তা ইতোমধ্যে রাজশাহী, নওগাঁ ও ঠাকুরগাঁও জেলার সাব-রেজিস্টার অফিস, বিভিন্ন ব্যাংকের শাখা, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ ও রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠিয়েছে। আব্দুল্লা আল ফিরোজের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব চেয়ে দুদক থেকে ইতোমধ্যে তাকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সম্পদ বিবরণী দাখিলের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে।
যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত ড. আব্দুল্লা আল ফিরোজ বলেন, আমাদের অফিসের পরিচালকসহ আরেকজন মিলে আমার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ দাখিল করেছে। আমি একটু ব্যস্ত আছি পরে আপনার সঙ্গে বিষয়ে কথা বলব ফোন কেটে দেন।
আরএফ/এমবি
