অভিযানে মৎস্য কর্মকর্তাকে অস্ত্র উঁচিয়ে ধাওয়া
Published : Tuesday, 19 March, 2024 at 12:43 PM Count : 221
ভোলার দৌলতখানের মেঘনা নদীতে নিষিদ্ধ পাইজাল দিয়ে মাছ ধরার অভিযোগে অভিযানে নেমে প্রভাবশালী চক্রের তোপের মুখে পড়েন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহফুজুল হাসনাইন সহ মৎস্য বিভাগের অন্যান্য স্টাফরা।
সোমবার দুপুরে চকেট জামাল বাহিনী স্পিডবোটে অস্ত্র উঁচিয়ে মেঘনা নদীতে মৎস্য কর্মকর্তাকে ধাওয়া দেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মাহফুজুল হাসনাইন জানান, সদর উপজেলার একটি প্রভাবশালী মহল অভয়াশ্রম এলাকায় দৌলতখান উপজেলায় পাইজাল ফেলে নদীতে মাছ শিকারের চেষ্টা করে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযানে নামলে ইয়াসিন মাঝি, শহীদ মাঝি, বশির মাঝি, চকেট জামাল, কামাল ও মিজানের নেতৃত্বে একদল অস্ত্রধারী ডাকাত অভিযানের ওপর হামলা চালায়। শতাধিক ডাকাত ভোলার তুলাতলি মাছঘাট থেকে ইলিশা পর্যন্ত আটটি পাইজাল, পাঁচটি স্পিডবোট নিয়ে অস্ত্রসহ মহড়া দিতে থাকে। এ সময় ১১ জেলেকে আটক করে দ্রুত মেঘনা নদী ত্যাগ করে দৌলতখানে চলে আসেন মৎস্য কর্মকর্তা।
এর আগে সকালে সাত জেলেকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ওই ১৮ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে জেল-জরিমানা করেন উপজেলা সহকারী কমিশার (ভূমি) মুন্নী ইসলাম।
তিনি জানান, সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় একটি গ্রুপ মাছ ধরছেন এবং একটি গ্রুপ ধরার চেষ্টা করছে। সে সময় তাদের আটক করা হয়। আটককালে ভোলা সদর ও দৌলতখানের বর্ডারে একটি গ্রুপ মৎস্য কর্মকর্তাকে তাড়া করেন। মৎস্য বিভাগের লোকজন নিজেদের রক্ষার জন্য মেঘনা নদী ত্যাগ করেন। বিষয়টি ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।
-এমএম/এমএ