For English Version
রবিবার ৬ অক্টোবর ২০২৪
হোম

সমিতির কল্যাণের নামে চাঁদাবাজি

Published : Tuesday, 12 March, 2024 at 2:16 PM Count : 1305

কক্সবাজারেপেকুয়া উপজেলার প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র আলহাজ্ব কবির আহমদ চৌধুরী বাজার। পেকুয়া বাজার ও আশপাশ কেন্দ্রীক গড়ে উঠেছে অন্তত ১৫টি স' মিল। এখানে রয়েছেন প্রায় শতাধিক কাঠ ব্যবসায়ী। 

এসব স' মিলে বান্দারবান জেলার ফাইতং, লামা, আজিজনগর, বাঁশখালীর পুঁইছড়ি, চকরিয়া উপজেলার হারবাং, ডুলহাজারাসহ বিভিন্ন উপজেলার সংরক্ষিত বনের গাছ ও চিরাই কাঠ ডাম্পার ও পিকআপ গাড়িতে এনে মজুদ করা হয়। 

আর এসব গাছভর্তি গাড়ি থেকে টাকা আদায় করছেন পেকুয়া বাজার কাঠ ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি ফরিদুল আলম। পেকুয়া বাজার ও পেকুয়া চৌমুহনী মোড়ে টাকা তোলার জন্য তার রয়েছে নিজস্ব নিয়োগকৃত দু'জন ব্যক্তি। তারা মূলত গাড়ি থামিয়ে নিয়মিত সমিতির কল্যাণের নামে চাঁদা আদায় করছেন।

প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার চিরাই কাঠ ও গাছ কেনাবেচা হয় পেকুয়া বাজারে। এছাড়া পেকুয়া বাজার থেকে পার্শ্ববর্তী দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ায় নিয়মিত পাচার হচ্ছে চিরাই কাঠ ও মাদার ট্রিসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে চাঁদাবাজিতে মেতেছে সমিতির সভাপতি ফরিদুল আলম।
প্রতিদিন সমিতির কল্যাণের নামে প্রতিটি গাছের গাড়ি থেকে ৫০০ থেকে এক হাজার টাকা চাঁদা আদায় করছে। তার চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন গাছ ব্যবসায়ীরা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন গাছ ব্যবসায়ী বলেন, কাঠ ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির কল্যাণের নামে প্রতি গাছের গাড়ি থেকে চাঁদা তোলেন সভাপতি ফরিদ। তার দু'জন নিজস্ব লোক আছে টাকা তোলার জন্য। প্রতি গাড়ি থেকে ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা দিতে হয়। চাঁদা না দিলে পুলিশকে দিয়ে গাড়ি আটকে দেয়।

এ ব্যাপারে সমিতির সভাপতি ফরিদুল আলম বলেন, সমিতি চালাতে হয়। এসব টাকা কল্যাণের নামে তোলা হয়। তবে সব টাকা সমিতির ফান্ডে যায় না। এখানে সাংবাদিক থেকে শুরু করে সকল পর্যায়ে টাকা দিতে হয়।

সমিতির সহ-সভাপতি মো.কায়সার বলেন, সমিতির নামে কোন কল্যাণ নেই। আমাদের সমিতি ধ্বংস করে দিয়েছেন সভাপতি ফরিদ। গাছের গাড়ি থেকে টাকা তুলে তিনি নিজের পকেটে নিচ্ছেন। আমরা তার চাঁদাবাজির বিষয়ে প্রশাসন বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেওয়া প্রক্রিয়ায় আছি। আমরা চাই কল্যাণের নামে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক।

সহকারী পুলিশ সুপার (চকরিয়া সার্কেল) রকীব উর রাজা বলেন, বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি। চাঁদাবাজির বিষয়টি প্রমাণিত হলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

-এনইউ/এমএ

« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,