For English Version
রবিবার ৬ অক্টোবর ২০২৪
হোম

বাইপ্রোডাক্ট করা গেলে সুদিন ফিরবে সুগার মিলে: রাচিক পরিচালক

Published : Sunday, 3 March, 2024 at 4:14 PM Count : 92


রাজশাহী চিনিকল (রাচিক) চালাতে প্রয়োজন মাফিক আখ পাওয়া যায় না। এটিই লোকসানের বড় কারণ। মিলকে লাভজনক করতে উন্নত আখ চাষের বিকল্প নেই। একইভাবে চিনির পাশাপশি বাইপ্রোডাক্ট করা গেলে সুদিন ফিরবে চিনিকলের।

এ কথাই বলছিলেন রাজশাহী চিনিকলে ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল বাশার। একই সাথে ওই কর্মকর্তা জানান রাজশাহী চিনিকল নিয়ে সরকারের পরিকল্পনার কথাও।
পরিচালক আবুল বাশার বলেন, মিলসের মূল উপদান আখ। আখের উৎপাদন যেহেতু আমাদের কম। চাষিরা আখ উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে। যেহেতু অন্যান্য ফসলের দাম বেশি। তাই অন্যান্য ফসল আবাদের (চাষের) দিকে চাষিরা ঝুঁকেছে। এখানে (রাজশাহী) মৎস্য চাষের জন্য পুকুর, ইটভাটা, নগরায়ন হওয়ার কারণে আখ আবাদযোগ্য জমি কমে যাচ্ছে। মিল চালাতে গেলে যে পরিমাণ আখের প্রয়োজন, সেই পরিমাণের আখ আমরা পাই না। এটিই লোকসান হওয়ার বড় কারণ।

তিনি বলেন, ১৯৬২ সালে এই মিলটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দীর্ঘদিনে মিলের যন্ত্রপাতির উৎপাদন ক্ষমতা কমেছে। দিন দিন আরও কমে যাচ্ছে। মিলের যন্ত্রপাতি আবার নতুন রিপ্লেসমেন্ট (বদল) করা যেতো, তাহলে চিনি উৎপাদন বাড়তো। পুরানো যন্ত্রপাতির কারণে যে পরিমাণের চিনি উৎপাদন হওয়ার কথা আমরা তা করতে পারি না। তবে এখন যে পরিমাণের আখ মাড়াই করা হচ্ছে; সেখান থেকে যে পরিমাণের চিনি পাওয়া যাচ্ছে, যন্ত্রপাতি ভালো থাকলে বেশি চিনি পাওয়া যেত। কিন্তু তার পরেও কাঙ্খিত চিনি উৎপাদন হতো না। মিল পাঁচ মাস চলার কথা চলে ২২ দিন। মেশিনারি ত্রুটির কারণে এই ২২ দিনে যে পরিমাণের চিনি পাওয়ার কথা তার থেকে কম পাচ্ছি।

আগের রেকর্ড তুলে তিনি বলেন, একসময় আখ মাড়াই হয়েছে বেশি। তখন দুই লাখ টন আখও মাড়াই হয়েছে। তখনও ৮৪ থেকে ৮৫ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। তার কারণ তখন চিনির মূল্য ছিল কম। এ কারণে এতো লোকসান হয়েছে। বর্তমানে এক কেজি চিনির উৎপাদন খরচ ৩০০ টাকা। তবে উৎপাদন খরচ আবার আখ মাড়াইয়ের উপরে নির্ভর করে। মিল বেশি দিন চললে চিনি উৎপাদন খরচ কমে যায়। মিলে বেশি আখ মাড়াই করতে পারলে ৩০০ থেকে নেমে ২০০ বা ১৫০ টাকায় নেমে আসতো। আমাদের টার্গেট চিনির উৎপাদন খরচ প্রতিকেজি ১০২ টাকায় রাখা।

রাচিক নিয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, কেরুর মতো করার একটা প্লান (পরিকল্পনা) ছিল সরকারের। মুলাসেস থেকে স্পিরিট, অ্যালকোহল করতে পারতাম। রাজশাহী আমের এলাকা। তাই এখানে একটা ম্যাংগো জুস কারখানা বা ম্যাংগো পাল্প কারখানা করার বিষয়ে সরকারের কাছে আমাদের প্রস্তাবনা রয়েছে। চিনির পাশাপাশি করলে মিলটা লাভজনক হয়ে উঠবে। এই শ্রমিকদের দিয়েই চালানো যাবে। তবে সংশ্লিষ্ট কাজে দক্ষ এমন কিছু শ্রমিক লাগবে। মিল ২২ দিন আর জুস মিলে ৩ মাস চালাতে পারলে খরচ কমে আসবে। বাইপ্রোডাক্ট করা গেলে রাজশাহী সুগার মিলসে সুদিন ফিরবে।

শ্রমিকদের বিষয়ে তিনি বলেন, গত ১৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে নিয়োগ বন্ধ থাকায় সৃষ্টি হয়েছে জনবল সংকট। ১ হাজার ২৪৭টি পদের বিপরীতে শূন্য রয়েছে ৫৪১টি পদ। কর্মরতদের সাথে মৌসুমে শ্রমিকরাও কাজ করে থাকেন। মিলি চালুর সময় যারা আসবে। তারা শুধু মিল চলাকালীন বেতন পাবেন।

জানা গেছে, জাতীয় নেতা শহিদ এএইচএম কামারুজ্জামান রাজশাহী চিনিকলে মুলাসেস ফ্যাক্টরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। বিষয়টি অনেক দূর এগিয়েছিল। এখানে মুলাসেস রেক্টিফাইড স্পিরিট, অ্যালকোহল, বার্নিশ স্পিরিট তৈরি করা হতো। কিন্তু তিনি শহিদ হওয়ার পরে আর আলোর মুখ দেখেনি মুলাসেস ফ্যাক্টরিটি।

রাজশাহী সুগার মিলেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল বাশার বলেন, আগামি ২৪ জুন মিল চালু হবে। এ মৌসুমে ৩০ দিন মিলস চালুর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আখমাড়াইয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৪২ হাজার মেট্রিক টন। মিল জোন এলাকায় আখের চাষাবাদ হয়েছে ৩ হাজার ৫৪০ একর জমিতে। আর গত বছর আখ চাষ হয়েছিল ৩ হাজার ৪০০ একর জমিতে।

আরএফ/এমবি

« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,