লক্ষ্মীপুরের পুত্রবধূ হলেন মালোশিয়ান কন্যা
Published : Saturday, 2 March, 2024 at 3:10 PM Count : 154
বাংলাদেশি রিয়াজ উদ্দিনের (৩২) সঙ্গে মালয়েশিয়ান তরুণী নুর আজিরা বিনতে আজহার (৩১) বিয়ে হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের আবিরনগর এলাকার বাসায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন রিয়াজ ও আজিরা।
তাদের মধ্যে ছয় বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। দুই লাখ টাকা দেনমোহরে রিয়াজ তার ভালোবাসার মানুষকে বিয়ে করেন।
বর রিয়াজ লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের আবিনগর এলাকার সাবেক সহকারী সাব রেজিস্ট্রার জামাল উদ্দিনের ছেলে। কনে আজিরা মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের আজহা বিন হোসাইন ও নুর আসিকিন বিন আরেফিন দম্পতির মেয়ে।
রিয়াজের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় নয় বছর আগে রিয়াজ মালয়েশিয়ায় যান। ছয় বছর আগে একদিন আজিরা একটি ফ্যাশন ডিজাইনের প্রতিষ্ঠানে ক্লাস করার জন্য আসে। পাশেই রিয়াজের দোকান ছিল। তখন আজিরার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। প্রথম পরিচয়ের সময় আজিরা মনে করেছিল তিনি ইরান কিংবা সৌদি আরবের। সেই পরিচয় থেকে প্রেমের সম্পর্কে রূপ নেয়।
পরে আজিরা তার মাকে রিয়াজের সম্পর্কে জানায়। এর দুই মাস পরে রিয়াজ ও আজিরার সঙ্গে সরাসরি ভালো লাগার বিষয়ে কথা বলেন। কুয়ালালামপুর শহরের ইস্তেফা সেন্টার থেকে তাদের নতুন সম্পর্কের সূচনা ঘটে। সম্পর্কের প্রথম দিকেই আজিরার মা-বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করেন রিয়াজ। প্রথমে আজিরার বাবা একটু মনঃক্ষুণ্ন ছিলেন। কিন্তু এখন রিয়াজের সঙ্গে তার শ্বশুর আজহারের ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠে।
কনে নুর আজিরা বিনতে আজহা বলেন, বাংলাদেশি মানুষ খুবই দারুণ এবং শ্রদ্ধাশীল। আমি রিয়াজকে অনেক বেশি ভালোবাসি। কারণ সে খুব ভদ্র স্বভাবের ও অনেক সুন্দর। শ্বশুর-শাশুড়ি আমাকে মেয়ের মতো গ্রহণ করেছেন। তাদের সঙ্গে চার দিন ছিলাম। আমি আমার পরিবারের মতোই তাদেরকে অনুভব করেছি।
রিয়াজ উদ্দিন বলেন, আজিরা মালয়েশিয়ায় আমাদের দেশের নামে খারাপ কিছু শুনেছে। তবে উড়োজাহাজে এক বাঙালির উপকারে সে মুগ্ধ হয়। বিমানবন্দরে তাকে সংশ্লিষ্টরা আমাদের দেশে স্বাগত জানায়। এসব বিষয়ে আজিরা খুবই খুশি। আজিরা এখন বাংলাদেশিদের সম্মান করে। আমি এক বছর দেশে আছি। এর মধ্যে আজিরা আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকবে। তাকে একবারে দেশে আনার জন্য মালয়েশিয়ার দূতাবাসসহ বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করব।
আজিরার সম্পর্কের রিয়াজ বলেন, মালয়েশিয়াতে আমি অনেক ধরনের মেয়ে দেখেছি। কিন্তু আজিরার মতো কাউকে পাইনি। আজিরা খুব ভালো মনের অধিকারী।
রিয়াজের বাবা জামাল উদ্দিন বলেন, রিয়াজ আমার ছোট ছেলে। ধুমধাম করে বিয়ের আয়োজন করতে চেয়েছি। কিছু জটিলতার কারণে তা সম্ভব হয়নি। এ বিয়েতে আমরা পুরো পরিবারই আনন্দিত। আগামী শুক্রবার (০৮ মার্চ) ছোট করে অনুষ্ঠান করা হবে। আজিরার স্বজনরা আসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কাগজপত্রের জটিলতার কারণে আপাতত আসতে পারবেন না।
বিয়েতে এলাকার গণ্যমান্য লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
-ডব্লিউআর/এমএ