শিক্ষার্থীদের চুল কেটে নেয়ায় শিক্ষিকা বরখাস্ত
Published : Thursday, 29 February, 2024 at 2:48 PM Count : 151
হিজাব না পড়ায় মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে সৈয়দপুর আব্দুর রহমান স্কুল এন্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির আট শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিদ্যালয়ের সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উপস্থিত থেকে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
অভিযুক্ত রুনিয়া সরকার ওই প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষিকা।
সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী মাইসা জাহান, তানজিলা আক্তার, আনীল আক্তার, তাসফিয়া, মাহাদিয়া, সুমাইয়া ও ইফা হিজাব পরে না আসার কারণে তাদের চুল কেটে নেওয়া বলে জানায়।
তারা জানায়, হিজাব না পরার কারণে হঠাৎ করে শিক্ষিকা রুনিয়া সরকার কাঁচি দিয়ে ৭ম শ্রেণির আট শিক্ষার্থীর মাথার চুল কেটে দেন।
এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর আট শিক্ষার্থী হিজাব না পড়ায় বুধবার উপজেলার সৈয়দপুর আব্দুর রহমান স্কুল এন্ড কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষিকা রুনিয়া সরকার ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের চুল কেটে দেন। এ বিষয়ে পরিচালনা পরিষদের জরুরী সভায় মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান ভূঁইয়াকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা বলেন, আমাদের মেয়েদের সাথে যে ঘটনা ঘটেছে এ ধরনের ঘটনা যেন আর কখনো না ঘটে। আমরা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
সৈয়দপুর আব্দুর রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিয়া ফরিদ আহমেদ বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা কথা বলেছি। মেয়েদের সামান্য চুল কাটা হয়েছে তবে হিজাব না পরার কারণে নয়। মেয়েরা একটু উশৃঙ্খলা করেছে এই কারণে শাস্তি দিয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাব্বির আহমেদ বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা মতে- আমরা শিক্ষার্থী, অভিভাবক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি সভাপতি ও সদস্যসহ সবার সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। সকালে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির একটি জরুরী সভায় তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
আব্দুর রহমান স্কুল এন্ড কলেজের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ইঞ্জিনয়ার গোলাম মাহমুদ বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। তদন্ত কমিটি হয়েছে। জড়িত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযুক্ত শিক্ষিকা রুনিয়া সরকারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও বন্ধ পাওয়া যায়।
-এমএ