৬ মাদ্রাসাছাত্রকে বলাৎকার, শিক্ষক আটক
Published : Thursday, 29 February, 2024 at 2:00 PM Count : 584
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে ছয় মাদ্রাসাছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার দেবীগঞ্জ পৌর সদরের মুন্সীপাড়া এলাকার আলহেরা মাদ্রাসায় থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটককৃত হাফেজ মাওলানা মুফতি মো. মিজানুর রহমান (৩৮) নীলফামারীর সদর উপজেলার গোড়গ্রাম ইউনিয়নের ভবানীগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ, ভুক্তভোগী ছাত্রদের অভিভাবক ও এলাকাবাসী জানান, মাদ্রাসায় আবাসিক ও অনাবাসিক ব্যবস্থায় পাঠদান চালু আছে। বুধবার সকালে মাদ্রাসার শিক্ষক মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে বলাৎকারের অভিযোগ পায় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি পুলিশকে না জানিয়ে ওই দিন বিকালে অভিযুক্ত শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করে। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে অভিভাবক ও স্থানীয়রা ক্ষোভে ফুঁসে উঠেন। মুখ খুলতে শুরু করেন একাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ছয় ভুক্তভোগী তাদের সাথে ঘটে যাওয়া যৌন নির্যাতনের বর্ণনা দেন পুলিশ ও সাংবাদিকদের কাছে।
এ সময় অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে প্রায় এক হাজারের অধিক এলাকাবাসী মাদ্রাসাটি ঘিরে রাখেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে মাদ্রাসার একটি কক্ষে লুকিয়ে থাকা ওই শিক্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ সময় ক্ষুব্ধ জনতা ওই শিক্ষককে লক্ষ্য করে জুতা নিক্ষেপ করে।
স্থানীয় কাউন্সিলর লেবু ইসলাম বলেন, এমন ঘটনা পূর্বেও অনেকবার ঘটেছে। কিন্তু মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
জয়নুল আবেদীন জয় নামে এক ছাত্রের বাবা অভিযোগ করে বলেন, মাদ্রাসার ভেতরে প্রায়ই কনডমের প্যাকেট পাওয়া যায়। এ রকম দৃশ্য দেখার পর আমি সন্তানকে মাদ্রাসা থেকে নিয়ে যাই।
স্থানীয়রা জানায়, ওই শিক্ষক প্রায়ই ছাত্রদের মারপিট করেন। মধ্য রাতে ওই শিক্ষক কর্তৃক মাদ্রাসাছাত্রদের বেধড়ক মারপিটের একটি ভিডিও সাংবাদিকদের দেখান এলাকাবাসী। রাতে এ ঘটনায় একজন ভিকটিমের বাবা বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন।
দেবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সরকার ইফেখারুল মোকাদ্দেম বলেন, ওই শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। ভিকটিমদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিক ভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
-এইচসি/এমএ