বালুর পানিতে অচল ডেমরা-কালীগঞ্জ সড়ক
Published : Sunday, 18 February, 2024 at 2:29 PM Count : 169
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ডেমড়া-কালীগঞ্জ সড়কের মুশুরী ফজুর বাড়ি মোড়ের এক ব্যবসায়ীর বালুর পানিতে সড়ক কর্দমাক্ত থাকে সারা বছর। এতে একদিকে যাতায়াতের ভোগান্তি বেড়েছে সাধারণ মানুষের অন্যদিকে বালুর পানিতে সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে ৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন সড়কের কাজ।
অথচ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, থানা, সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে যাতায়াতের একমাত্র সড়কটি এভাবে কর্দমাক্ত থাকলেও সমাধানে কেউ এগিয়ে আসেননি। এছাড়াও ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় গ্রামের লোকজনের প্রবেশের অন্যতম সড়ক এটি।
এদিকে, সড়কটি নির্মাণে ৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে কাজ চলমান থাকলেও রহস্যজনক এ অংশে ঢিলেঢালা কাজ করছেন এলজিইডি সংশ্লিষ্টরা। এতে ভোগান্তি কাটছে না এ সড়কে যাতায়াতকারীদের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ডেমড়া-কালীগঞ্জ সড়কের মুশুরী ফজুর বাড়ি মোড়ের স্থানীয় বাসিন্দা হোসেন মিয়া তার বালির স্তুপ করেছেন সড়কের পাশে। তার অধীনে প্রতিদিন শীতলক্ষ্যা নদী থেকে বালুবাহী কার্গোর পাইপে বালু আনলোড করেন। এতে বালির সঙ্গে মিশে আসে পানি। এসব পানি জমে বালুর সঙ্গে মিশে সড়কটি অচল হয়ে থাকে। বর্ষাকালে এ সংকট হয় আরও ভয়াবহ।
স্থানীয় বাসিন্দা ও যাত্রীরা জানান, এ সড়কটি গত ৭ বছর ধরে সংস্কার না করায় ভোগান্তি ছিলো চরমে। এখন সড়ক নির্মাণ হচ্ছে। কিন্তু বালুর পানির সমস্যা সমাধান হচ্ছে না।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বালু ব্যবসায়ী হোসেন মিয়ার মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।
তবে বালুর কাজে নিয়োজিত শ্রমিক আলী আকবর বলেন, বালুর পানি গেলে সড়ক বন্ধ হয় না। গাড়ি তো চলতেছেই। এটা কোনো সমস্যা না।
জাঙ্গীর এলাকার অটোচালক মনির হোসেন বলেন, আমরা এ সড়কে চলাচল করতে পারিনা। চাকা ফেসে যায়। বড় বড় ট্রাক চলে। সেসবও উল্টে যায়। প্রতিদিন এ মোড়ে সিএনজি বা অটো উল্টে যাত্রী আহতের ঘটনা ঘটে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে রূপগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি প্রধান প্রকৌশলী মাহমুদ মোরশেদ বলেন, বিষয়টি জেনেছি। ওখানে কর্মকর্তা পাঠিয়ে দ্রুত সড়ক চলাচল উপযোগী করে দেব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আহসান মাহমুদ রাসেল বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি। তাই সবকিছু জানা হয়নি। সড়ক চলাচল করতে লোক পাঠাবো।
-এসএম/এমএ