রাবিতে ভবনধস: নির্ধারিত সময়ে জমা পড়েনি তদন্ত প্রতিবেদন
Published : Tuesday, 13 February, 2024 at 8:02 PM Count : 119
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান হলের নির্মাণাধীন ভবনের একটি অংশ ধসে পড়ার ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে প্রশাসন। তবে মঙ্গলবার ওই সময়সীমা শেষ হলেও তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি।
অথচ কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছিল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মো. কামরুজ্জামান সরকার বলেন, নির্ধারিত সময়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা হয়নি। কবে নাগাদ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হতে পারে সে বিষয়ে মুঠোফোনে কথা বলতে রাজি হননি তিনি।
তবে তদন্ত কমিটির সদস্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা কাজ করছেন। বেশ কিছু জিনিস পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। এগুলোর প্রতিবেদন সঙ্গে সঙ্গে পাওয়া যায় না। এ জন্য সময় লাগছে। নির্ধারিত সময়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার বিষয়ে তাঁরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন। প্রতিবেদন জমা দিতে আরও দু-তিন দিন লাগবে বলে জানান তিনি।
গত ৩০ জানুয়ারি দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ হলের সামনে শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান হলের নির্মাণাধীন ভবনের একাংশ ধসে পড়ে। এ ঘটনায় নয়জন আহত হন। ওই দিন রাতেই জরুরি সভা ডেকে ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। তবে ঘটনার চার দিন পর ৪ ফেব্রুয়ারি তদন্ত কমিটির সদস্যদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। তাই ওই দিন থেকেই সাত কার্যদিবস গণনা করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তর সূত্রে জানা যায়, শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান আবাসিক হল ও ২০ তলাবিশিষ্ট একাডেমিক ভবনের নির্মাণকাজ করছে রূপপুরের ‘বালিশ-কাণ্ডে’ আলোচিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মজিদ সন্স কনস্ট্রাকশন লিমিটেড। বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন এ দুই ভবনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ইমোমধ্যে দুজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে বিভিন্ন সময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে।
প্রতিবেদন জমা না হওয়ার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গোলাম সাব্বির সাত্তার ও নবনিযুক্ত রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) তারিকুল হাসানের মুঠোফোনে কল করা হলেও তাঁরা ফোন রিসিভ করেননি।
আরএইচ/এমবি