পপকর্ণে স্বপ্ন দেখছেন চাষিরা
Published : Tuesday, 13 February, 2024 at 12:59 PM Count : 170
অনুকূল আবহাওয়া ও বিগত বছরে আশানুরুপ লাভ হওয়ায় চলতি বছর দিনাজপুরের খানসামায় বৃদ্ধি পেয়েছে পপকর্ণ চাষ। এতে কৃষকরা রঙিন স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন।
উপজেলায় ধান, পাট, সরিষা, আলু ও ভুট্টার পাশাপাশি অধিক লাভজনক পপকর্ণ চাষ হচ্ছে। পপকর্ণ অন্যান্য ফসলের তুলনায় স্বল্প খরচে ভালো উৎপাদন হয়। স্থানীয় ভাবে সহজলভ্য, সরাসরি পাইকারি বাজার সৃষ্টি ও লাভজনক হওয়ায় পপকর্ণ চাষে ঝুঁকে পড়েছেন চাষিরা।
এছাড়াও, নিয়মিত কৃষি বিভাগ থেকে উদ্বুদ্ধকরণ, পরামর্শ প্রদান, সরকারি সহায়তার কারণে পপকর্ণ চাষে কৃষকদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েই চলেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় প্রতি বছর পপকর্ণ চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে ১ হাজার ৫২০ হেক্টর জমিতে পপকর্ণ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও অর্জিত হয়েছে ১ হাজার ৬৬০ হেক্টর জমি।
উপজেলার গোয়ালডিহি ইউনিয়নের পপকর্ণ চাষি মোস্তফা কামাল ডাবলু শাহ বলেন, আমি আমার এলাকায় সর্বপ্রথম পপকর্ণ চাষ করি। আমার পপকর্ণ চাষ করা দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে অনেকেই এখন পপকর্ণ চাষ করছেন। প্রথম দিকে ৬০-৬৫ বিঘা জমিতে পপকর্ণ চাষ করেছি। গত বছর ও এ বছর ২০ বিঘা জমিতে পপকর্ণ চাষ করেছি। আমি গত বছর ২০ বিঘা জমি থেকে শুকনো দেড় টন পপকর্ণ পেয়েছি। আশা করছি এ বছর আরও বেশি ফলন পাবো।
ওই এলাকার আরেক পপকর্ণ চাষি আব্দুল লতিফ হাজি বলেন, আমি গত বছর পাঁচ বিঘা জমিতে পপকর্ণ চাষ করে বেশ লাভ পেয়েছি। আমি গত বছরের মতো এ বছরও পাঁচ বিঘা জমিতে পপকর্ণ চাষ করেছি। প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হলে এবং সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ভালো ফলন পাবো।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা গোপাল রায় বলেন, পুরো উপজেলার মধ্যে গোয়ালডিহি ইউনিয়নে শতকরা ৭০ ভাগ ও বাকি পাঁচটি ইউনিয়নে ৩০ ভাগ পপকর্ণ চাষ হয়। চাষিদের পপকর্ণের ভালো ফলন পেতে সার্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হাবিবা আক্তার বলেন, দিনাজপুরের শস্য ভান্ডারখ্যাত এ উপজেলা। এ উপজেলার কৃষক পপকর্ণ চাষে বেশ আগ্রহী। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চাষিদের পপকর্ণ চাষে উদ্বুদ্ধকরণসহ সার্বিক পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
-এমএ