আশুলিয়ায় ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ
Published : Monday, 12 February, 2024 at 7:06 PM Count : 214
সাভারে আশুলিয়ায় ভুল চিকিৎসায় মিজানুর রহমান (৩৬) নামে এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার সকালে উপজেলার জামগড়া ছয়তলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত দি-ল্যাব এইড হাসপাতালে এ রোগী মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
নিহত মিজানুর রহমান মাদারীপুর জেলাল কালকিনি থানা এলাকার বাসিন্দা। তিনি সাভারের আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় পরিবারসহ ভাড়া বাসায় থেকে হোটেল ব্যবসা করতেন।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, পিত্তথলিতে পাথর অপসারণের উদ্দেশ্যে অস্ত্রোপচারের জন্য রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে দি-ল্যাব এইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত সোয়া ৮ টার দিকে হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সাকিফ রহমান তার অস্ত্রোপচার করার পর থেকেই রোগীর বমি শুরু হয়।
সোমবার সকালের দিকে ব্যথা বৃদ্ধি পাওয়ায় নার্স এসে তাকে একটি ইনজেকশন দেয়। এরপরও ব্যথা না কমায় আরও দুইটি ইনজেকশন দেওয়া হলে রোগীর মুখ ও নাক দিয়ে ফেনা বের হলে সে নিস্তেজ হয়ে পড়ে।
তখন কর্তব্যরত নার্সরা এসে দ্রুত তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দিয়ে অন্য হাসপাতালে নিতে বলে। অতঃপর নবীনগর কেন্দ্র হাসপাতালে নিলে সেখানকার চিকিৎসকরা জানান এখানে আনার আগেই তিনি মারা গেছেন।
মৃতের ছোট ভাই রিপন হোসেন বলেন, পিত্তথলির অপারেশন করার জন্য তাকে দি-ল্যাব এইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতে অপারেশন করার পর সারারাত বমি করেছে। এজন্য নার্স ডাকা হয়েছে। নার্স প্রথম ইনজেকশন দেওয়ার পর তার চেহারা সবুজ হয়ে গেছে এবং ব্যথা বেড়েছে। এরপর আরও একজন এসেছে। তিনি ডাক্তারও না, নার্সও না। কিছুই না। ওই ব্যক্তি আরও দুইটা ইনজেকশন দেয়ার পরে নাক-মুখ দিয়ে ফেনা বের হয়ে সে মারা যায়। মারা যাওয়ার পরে যারা মহিলা নার্স ছিল তারা লাশ তাড়াতাড়ি বের করে দিয়ে বলে, অন্য মেডিক্যালে নিয়ে যান। অন্য মেডিক্যালে নিয়ে গেছি তো তারা বলছে এ তো মৃত।
এ বিষয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাকিফ রহমানের সঙ্গে কথা বলতে গেলে হাসপাতালে তাকে পাওয়া যায়নি। তার মুঠোফোন নম্বরে কল দিলেও তিনি ফোন ধরেননি।
দি-ল্যাব এইড হাসপাতালের পরিচালক লোকমান হোসেন বলেন, আমার এখানে কালকে এক রোগীর অপারেশন হয়েছে। আজ সকালে রোগীর অবস্থা খারাপ হওয়ায় পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যালে পাঠানো হয়। তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেছিল। তবে চিকিৎসায় ভুলের অভিযোগের বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ সায়েমুল হুদা বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে কোনো অভিযোগ পাইনি। বিষয়টি দেখা হচ্ছে।
ওিএফ/এমবি