For English Version
রবিবার ৬ অক্টোবর ২০২৪
হোম

বরাদ্দের টাকা না পাওয়ায় ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ চলছে ধীর গতিতে

Published : Sunday, 11 February, 2024 at 6:29 PM Count : 245


সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা ও মধ্যনগর  উপজেলার নয়টি হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের ১২৮টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির ( পিআইসি) সদস্যরা এখনো ফসরলক্ষা বাঁধের কাজের বরাদ্দের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পাননি। টাকা না পাওয়ায় বাঁধের কাজ চলছে ধীর গতিতে। ফলে বোরো ফসলরক্ষা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন হাওরপাড়ের কৃষকেরা।  

নীতিমালা অনুযায়ী, গত বছরের ১৫ডিসেম্বরে মধ্যে বাঁধের কাজ শুরু করে তা চলতি বছরের ২৮ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করার কথা রয়েছে।

ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীন ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলার নয়টি হাওর রয়েছে। 
হাওরগুলো হচেছ, চন্দ্র সোনার থাল, গুরমা, গুরমার বর্ধিতাংশ, রুই বিল, ঘোড়াডোবা, কাইলানী, জয়ধনা, সোনামড়ল  ও ধানকুনিয়া। চারটি কিস্তিতে হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের প্রকল্প কাজের বরাদ্দকৃত অর্থ পিআইসিদের পরিশোধ করার কথা রয়েছে। ধর্মপাশায় ফসলরক্ষা বাঁধের ৯৬টি প্রকল্প কাজের বিপরীতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২০কোটি ৭২লাখ টাকা।  এ উপজেলায় পিআইসিদের বরাদ্দের প্রথম কিস্তির চেক দেওয়া হয়েছে ১০জানুয়ারি থেকে ১৪জানুয়ারি পর্যন্ত। 

আর মধ্যনগরে ৩২টি প্রকল্প কাজের  বিপরীতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৬ কোটি ৩ লাখ টাকা। এ উপজেলায় পিআইসিদের প্রথম কিস্তির চেক দেওয়া হয়েছে গত ১১ জানুয়ারি। এই দুটি উপজেলায় বাঁধের প্রকল্প কাজে দ্বিতীয় কিস্তি বাবদ চাহিদা রয়েছে ৬কোটি ৬৯লাখ ৭৫হাজার টাকা। এর মধ্যে বরাদ্দ পাওয়া গেছে ৩কোটি ১৬ লাখ টাকা।

ধর্মপাশার ৯৬টি প্রকল্পে গড়ে ৬৭ভাগ মাটির কাজ ও মধ্যনগরে ৩২টি প্রকল্পে গড়ে ৬৫ ভাগ মাটির কাজ শেষ হয়েছে। 

হাওরপাড়ের কয়েকজন কৃষক বলেন, ফসলরক্ষা বাঁধের বরাদ্দের কিস্তির টাকা দ্রুত পরিশোধ করা উচিত। টাকার অভাবে দেরিতে কাজ শেষ হলে হাওরের ফসলডুবির সম্ভাবনা রয়েছে।   

ধর্মপাশা উপজেলার সোনামড়ল হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের ১৯নম্বর পিআইসির সভাপতি  আমিনুল হক মজুমদার বলেন, বাঁধের প্রকল্প কাজ বাবদ প্রথম কিস্তিতে যে টাকা আমরা পেয়েছি তার চেয়ে দ্বিগুন কাজ করে ফেলেছি। টাকার অভাবে এখন প্রায় সময়ই কাজ বন্ধ রাখতে হচ্ছে।

মধ্যনগর উপজেলার  ঘোড়াডোবা হাওরের ১নম্বর পিআইসির সভাপতি নান্টু লাল সরকার বলেন, এই বাঁধে কাজ করতে গিয়ে অনেক দূর থেকে আমাদেরকে মাটি আনতে হচ্ছে। কাজের বরাদ্দের প্রথম কিস্তির টাকা বেশ আগে পেলেও ধারধেনা করে  কাজ করে ফেলেছি দ্বিগুন।   বরাদ্দের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা না পাওয়ায় কাজের গতি অনেকটাই কমে এসেছে। দ্রুত দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।

ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন ও মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও)  অতীশ দর্শী চাকমা বলেন, ফসলরক্ষা বাঁধের প্রকল্প কাজের দ্বিতীয় কিস্তি বাবদ যে অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেছে তা চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত নয়। যা আমরা বরাদ্দ পেয়েছি সেই টাকা শিগগিরই পিআইসিদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। বিষযটি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবগত রয়েছেন।

একে/এমবি


« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,