For English Version
রবিবার ৬ অক্টোবর ২০২৪
হোম

পেকুয়ায় চার ইটভাটায় পুড়ছে বনের কাঠ

Published : Tuesday, 6 February, 2024 at 6:39 PM Count : 288

পরিবেশ বান্ধব ও প্রযুক্তি ছাড়াই কৃষিজমি ও সংরক্ষিত বনাঞ্চলের তিন কিলোমিটারের ভিতরে কক্সবাজারের পেকুয়ায় গড়ে উঠেছে চারটি ইট ভাটা। এসব ইট ভাটায় পুড়ছে সংরক্ষিত বনাঞ্চালের গাছ। 

পরিবেশ অধিদপ্তর কিংবা সরকারের  অনুমোদন নেই এরপরেও বছরের পর বছর চলছে ইট ভাটা। বনের গাছ ব্যবহার হচ্ছে ইট ভাটার জ্বালানির জোগান দিতে। এতে ব্যাহত হচ্ছে কৃষি উৎপাদন। উজাড় হচ্ছে বন। বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি।

ইটভাটায় পুড়ছে বনের কাঠ। এতে করে একদিকে যেমন বন কাঠ শূন্য হচ্ছে আবার অন্যদিকে ইটভাটা থেকে সৃষ্ট  কালো ধুঁয়ায় পরিবেশ বিপন্ন হচ্ছে। সরকারি অনুমোদন ছাড়াই গড়ে উঠেছে অসংখ্য অবৈধ ইটভাটা। পাহাড় কেটে মাটি সংগ্রহ, জ্বালানি হিসেবে বনজ সম্পদ উজাড় করা হচ্ছে নির্বিচারে।

সরেজমিন দেখা গেছে, কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ও টইটং ইউনিয়নে গড়ে উঠেছে ৪টি ইটভাটা। যার সবকটিই সরকারি অনুমোদন ছাড়া।
‘ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩’ না মেনে ফসলির জমির মাটি নেওয়া হচ্ছে এবং ইট পোড়ানোর জন্য প্রাকৃতিক বনের কাঠ কাটা হচ্ছে। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ এর ৬ ধারায় উল্লেখ রয়েছে, ‘কোন ব্যক্তি ইটভাটায় ইট পোড়ানোর কাজে জ্বালানী হিসেবে কোন জ্বালানী কাঠ ব্যবহার করতে পারবেন না’। এ আইন অমান্য করলে ‘অনধিক ৩ বৎসরের কারাদন্ড বা অনধিক ৩  লক্ষ টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন’ মর্মে এ আইনের ১৬ ধারায় বলা হয়েছে। একই আইনের ৪ ধারায় উল্লেখ আছে ‘জেলা প্রশাসকের নিকট হতে লাইসেন্স গ্রহণ ব্যতিরেকে কোন ব্যক্তি ইট প্রস্তুত করতে পারবেন না’। ৫নং ধারায় বলা আছে, ‘কৃষিজমি বা পাহাড় বা টিলা হতে মাটি কেটে বা সংগ্রহ করে ইটের কাঁচামাল ব্যবহার করা যাবে না’।

নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, প্রশাসনকে ম্যানেজ করে চলছে ইটভাটা। এছাড়া বছরের বিশেষ দিনগুলোতে (আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস,স্বাধীনতা দিবস,জাতীয় শোক দিবস,বিজয় দিবস) উদযাপনের কথা বলে প্রতিটি ভাটা থেকে চাঁদা আদায় করে প্রশাসন। সবকিছু ঠিকঠাক রেখে নির্দ্বিধায় চলছে এসব ইটভাটা।

এবিষয়ে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চাই থোয়াইহলা চৌধুরী বলেন, গত ৩১ জানুয়ারি এসবিএম নামের একটি ইটভাটায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। কাগজপত্র সঠিক না থাকলে অন্য ইটভাটাগুলোতেও বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এনইউ/এসআর

« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,