এবার সুবর্ণচরে সিঁধ কেটে মা-মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
Published : Tuesday, 6 February, 2024 at 3:22 PM Count : 149
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে এবার সিঁধ কেটে মা ও মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার দিবাগত রাত পৌণে ২টার দিকে উপজেলার চর ওয়াপদা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভুক্তভোগী গৃহবধূর বরাত দিয়ে চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
ভুক্তভোগী গৃহবধূর বয়স (৩০) ও তার মেয়ের বয়স (১২)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী পেশায় একজন দিনমজুর। তিনি ৩-৪ দিন পর পর বাড়িতে আসেন। তাকে কাজের জন্য প্রায়ই বাইরে থাকতে হয়। ভুক্তভোগী ওই নারী তিন সন্তানের জননী। তার মেয়ে স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। কয়েক মাস আগে হাতিয়া থেকে এসে চরকাজী মোখলেছ গ্রামে নতুন বাড়ি করে বসবাস করছিল পরিবারটি।
ভুক্তভোগী গৃহবধূর ভাষ্যমতে, এ সুযোগে সোমবার রাতে বাড়িতে মা-মেয়েকে একা পেয়ে সিঁদ কেটে একজন দরজা খুলে দেয়। পরে আরও দু'জন ঘরে ঢুকে মা ও মেয়ের ওপর নির্যাতন চালায়। যাওয়ার সময় স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা নিয়ে যায়। পরে ৯৯৯-এ কল পেয়ে চরজব্বর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ভুক্তভোগীদের উদ্ধার করে।
তিনি অভিযোগ করেন, তাদের মধ্যে দু'জনকে চেনেন। তারা হলেন মুন্সী মেম্বার ও গরু ব্যাপারী হারুন।
চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, কিছুদিন আগে নির্যাতিত গৃহবধূ নতুন এ বাড়িতে উঠেন। ওই বাড়িতে সিঁধ কেটে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। গৃহবধূ ও তার মেয়েকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। ভুক্তভোগীর ভাষ্যমতে পুলিশ অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটের দিন নোয়াখালীল সুবর্ণচর উপজেলায় এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে দেশব্যাপী ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। সোমবার বেলা ১২টার দিকে নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক (জেলা জজ) ফাতেমা ফেরদৌস ওই মামলায় ১৬ আসামির মধ্যে ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ছয় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। একইসঙ্গে তাদের জরিমানাও করা হয়। এ উপজেলা ধর্ষণের জন্য দেশব্যাপী বার বার আলোচনায় আসছে।
-আইইউ/এমএ