কয়রায় ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে স্থানীয়দের
Published : Friday, 26 January, 2024 at 4:28 PM Count : 220
খুলনার কয়রায় ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে পারাপার আতঙ্কে এলাকাবাসী। জানা গেছে, কয়রা সদর ইউনিয়নের ২ নং কয়রা খালের ওপর নির্মিত সেতুটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সেতুর দুই পাশে নেই কোনো রেলিং।
বেশির ভাগ পিলারের পলেস্তরা ওঠে গেছে এবং সেতুটির মাঝখানে ভেঙ্গে চলাচলের অনুপোযোগি হয়ে পড়েছে। বেরিয়ে গেছে রড। ভেঙে যাওয়া সেতুটির বড় একটি অংশে কাঠের পাটাতন ও বাঁশ বিছিয়ে দিয়ে পার হচ্ছে ৪ গ্রামের হাজারো মানুষ ও যানবাহন।
যে কোনো সময় পুরা সেতুটি ভেঙে পড়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
স্থানীয়রা জানান, সেতু দিয়ে বৃদ্ধ ও শিশুদের মারাত্বক ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয়। সেতু দিয়ে পারাপারের সময় অনেকে দুর্ঘাটনার শিকার হয়েছে। স্কুলে ছেলে-মেয়েদের পাঠিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হয় তাদের। এলাকাবাসীর দির্ঘদিনের দাবী পূর্বের স্থলে একটি ব্রিজ নির্মানের।
কয়রা সদর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ মাসুম বিল্লাহ বলেন, ২ নং কয়রা ও ওড়াতলা হাফিজিয়া মাদরাসার সামনে ১৯৯৬ সালে খালের ওপর সেতুটি নির্মিত হয় । দীর্ঘদিন ধরে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে রয়েছে। কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি নির্মাণের কোনো লক্ষণ নেই।
জনমনে আতঙ্ক আর ঝুঁকি নিয়ে সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ জীবনের ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে। সেতুটি যে কোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এসএম বাহারুল ইসলাম বলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চার ও দুই নং ওয়ার্ডের সংযোগস্থলে নির্মিত সেতুটির ওপর দিয়ে পার্শবর্তী দুই ও তিন নং ওয়ার্ডের জনসাধারনের কয়রা সদরে আসতে হয়। ওই ঝুকিপূর্ণসেতু দিয়ে চলাচলের সময় ভয়ে থাকতে হয়। কখন যেন এটি ভেঙে পড়ে। এমন আশঙ্কা নিয়ে সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষ।
উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ দারুল হুদা বলেন, ঝুকিপূর্ণ সেতুটি পরিত্যাক্ত ঘোষনা করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সেতুটি পুনর্র্নিমাণ করা হবে।
কয়রা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম শফিকুল ইসলাম বলেন, সেতুটি অনেক আগেই ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। জরুরী ভিত্তিতে সেতুটি পুনর্র্নিমাণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এসএম/এমবি