ফসলি জমির উপর ব্যক্তিগত রাস্তা নির্মাণের অভিযোগে মানববন্ধন
Published : Wednesday, 24 January, 2024 at 4:37 PM Count : 304
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও জেলা পরিষদ সদস্য কর্তৃক জোর জবরদস্তি করে জায়গা দখল করে ব্যক্তিগত রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া যায়।
বুধবার সকাল ১১ টায় উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলা সদর ৩ নং ইছাপুরা ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বকুল এবং জেলা পরিষদ সদস্য বাবুল আক্তার, সম্পর্কে দুজন আপন চাচাতো ভাই। দুজনেরই গ্রামের বাড়ি উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের খাদরাইল গ্রামে। এ গ্রামের উত্তর দক্ষিণে বহমান সুবিশাল কার্পেটিং রাস্তা, এছাড়া রয়েছে গ্রাম থেকে বের হওয়ার জন্য আরো ৩ টি রাস্তা। সর্বমোট ৫ টি সরকারের রেকর্ড ভুক্ত রাস্তা দিয়ে অনায়াসে যাতায়াত করতে পারে এখানকার জনসাধারণ। কিন্তু প্রভাব এবং প্রতিপত্তির জোরে গ্রামের গরীব কৃষক জনসাধারনের ধান রোপন করা ফসলী জমির উপর দিয়ে ব্যক্তিগত রাস্তা নির্মাণ শুরু করেছে।
রুপনকৃত ফসল গরিব কৃষকদের ভবিষ্যতের খাবার জোগারের একমাত্র অবলম্বন। নতুবা তাদের অনাহারে অর্ধাহারে জীবন ধারণ করতে হবে। সুদের উপর টাকা এনে জমি চাষ করা কৃষক এখন দিশেহারা। বুহা নাঙ্গা অভাবগ্রস্ত কৃষক উপায়ান্তর না দেখে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর। এবং মানববন্ধন ও বিক্ষোভের আয়োজন করেন। এতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক এবং তাদের ছেলেমেয়ে, পরবারের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, তাদের সামান্য জমি। এ জমির উপর দিয়ে যদি রাস্তা নির্মাণ হয় তবে তাদের বেঁচে থাকা দুষ্কর হয়ে যাবে।
তারা আরো জানায়, অভিযুক্তরা সমাজের বিত্তশালী এবং দাঙ্গাবাজ, মামলা বাজ, লাঠিয়াল। তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চায় না। তাদের বিপক্ষে যে কথা বলবে তাদেরকে অহেতুক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে নতুবা সুযোগ বুঝে লাটিয়িল বাহিনী দিয়ে আক্রমণ করে থাকে।
অভিযোগের ভিত্তিতে ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বকুল বলেন, আমি খাসের জায়গায় রাস্তা তৈরি করছি। যদি কোন কৃষকের জমি কাটা পড়ে থাকে তবে এর বিহিত ব্যবস্থা করব।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী, ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বলেন, রাস্তা তৈরির বিষয়ে তারা অবগত নয় এবং তাদের অফিস কোন প্রকার অনুমোদন দেয় নাই।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়া আফরোজ বলেন, এ বিষয়ে আমি অভিযোগ পেয়েছি এবং মানববন্ধনও আমি দেখেছি। আমি এর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এসআরএস/এসআর