তৃতীয় ম্যাচে এসে দ্বিতীয় জয় চট্টগ্রামের
Published : Monday, 22 January, 2024 at 6:06 PM Count : 141
দুর্দান্ত ঢাকাকে হারিয়ে তৃতীয় ম্যাচে এসে দ্বিতীয় জয়ের দেখা পেল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। মিরপুরে ঘরের মাঠে রাজধানীর দলটাকে হারিয়েছে ছয় উইকেটে। ঢাকার দেয়া ১৩৬ রানের লক্ষ্য টপকে গেছে ১০ বল হাতে রেখেই।
সোমবার আসরের প্রথম ম্যাচেই জয়ের দেখা পেয়েছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স, তবে দ্বিতীয় ম্যাচে এসে হোচট খায় তারা। সেই ধাক্কা দ্রুতই কাটিয়ে উঠলো বন্দরনগরীর দলটি, ফিরেছে জয়ের ধারায়। আল আমিনের দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর তানজিদ তামিম আর নাজিবুল্লাহ জাদরানের ব্যাটে ভর করে ঢাকাকে হারিয়েছে তারা।
১৩৬ রানের ছোট লক্ষ্য তাড়ায় ইনিংসের প্রথম ৫ বলেই ১৮ রান তুলে নেয় চট্টগ্রাম। তবে ষষ্ঠ বলে শরিফুল তুলে নেন লঙ্কান আভিস্কা ফার্নান্দোকে (১২)। এক ওভার পর তিনে নামা ইমরানুজ্জামানকেও সাজঘরের পথ দেখান শরিফুল। ২.২ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে খানিকটা চাপে পড়ে যায় চট্টলা।
তবে এদিন জ্বলে উঠেন ওপেনার তানজিদ তামিম। অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপজয়ী সতীর্থ শাহাদাত দিপুকে নিয়ে হাল ধরেন ইনিংসের। খেলতে থাকেন সময় উপযোগী ইনিংস। ৫৩ বলে ৫৩ রান আসে তাদের যুগলবন্দীতে। শাহাদাত ফেরেন ৩১ বলে ২২ রানে।
নাজিবুল্লাহ জাদরানকে নিয়ে আরো ২৪ রান করেন তামিম। দলকে তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছে দিয়ে তিনি ফেরেন অর্ধশতক হাতছাড়া করার আক্ষেপ নিয়ে। ৪০ বলে ৪৯ রান আসে তার ব্যাটে। এরপর অধিনায়ক শুভাগত হোমকে নিয়ে বাকি পথটা সামাল দেন নাজিবুল্লাহ।
নাজিবুল্লাহ ১৯ বলে ৩২ ও শুভাগত অপরাজিত থাকেন ৭ রানে। ১৮.২ ওভারে জয় নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম। এর আগে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে আল আমিন-বিলাল খানদের পেসে ধসে যায় ঢাকার ইনিংস। ৮ উইকেটে ১৩৬ রান পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে তারা।
আগে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই ধাক্কা খায় ঢাকা। চোটে পড়ে মাঠ ছাড়েন ওপেনার গুনাথিলাকা। তবে টপ অর্ডারের বাকিরাও ছিলেন ব্যর্থ। ৮ ওভারে মাত্র ৩৩ রানে ৪ উইকেট হারায় ঢাকা। যেখানে দুই অঙ্কের ঘরেই পৌঁছাতে পারেননি তিনজন।
১১ বলে ৮ রানে ফেরেন নাইম শেখ, তিনে নেমে সাইফ হাসান শিকার হন আল আমিনের। ফেরেন ৯ বলে ৯ রানে। তবে ব্যর্থতার চূড়ান্ত রূপ দেখান অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, ৬ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি। শুভাগতর বলে ফেরেন ০ রানে।
গুনাথিলাকার রিটায়ার্ড হার্টে কনকাশন সাব হয়ে আসেন দুনিথ ক্রসপুল্লে। তার ব্যাটেই খানিকটা দিশা খুঁজে পায় ঢাকার ইনিংস। ইরফান শুক্কুরকে নিয়ে পঞ্চম উইকেট জুটিতে গড়েন ৪৭ বলে ৭৩ রানের জোট। ছুটছিলেন অর্ধশতকের দিকেই, তবে তা আর পাওয়া হয়নি।
৩১ বলে ৪৬ রানে ক্যাম্ফারের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ক্রসপুল্লে। চতুরঙ্গা ডি সিলভাও পারেননি হাল ধরতে, আল আমিনের দ্বিতীয় শিকার তিনি। খানিক বাদে ইরফান শুক্কুরের স্ট্যাম্প ভাঙেন বিলাল খান, ২৬ বলে ২৭ রানে আউট হন এই ব্যাটার।
শেষ দিকে ঢাকার ইনিংসকে সম্মানজনক অবস্থায় নিয়ে যান পেসার তাসকিন আহমেদ। তার ৯ বলে ১৫ রানের ছোট ইনিংসটা ঢাকাকে পৌঁছায় ১৩৬ রান নাগাদ। আল আমিন ও বিলাল নেন জোড়া উইকেট।
এমবি