তেঁতুলিয়ায় ৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা
Published : Sunday, 14 January, 2024 at 11:21 AM Count : 167
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় টানা দুই দিন ধরে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। রোববার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঘন কুয়াশা আর মৃদু শৈত্যপ্রবাহের দাপটে বিপর্যস্ত উত্তরের এ জনপদ।
জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঘন কুয়াশায় আবৃত ভোর থেকেই। বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশার শিশির। একদিকে প্রচন্ড শীত, আরেক দিকে ঘন কুয়াশার আধার। তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষ থেকে শুরু করে শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠ, পাথর-চা শ্রমিক, দিনমজুর, থেকে নানা শ্রমজীবী মানুষ। প্রয়োজন ছাড়াও অনেকে ঘর থেকে বের না হলেও জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করেই কাজে বেড়িয়েছেন নিম্নআয়ের পেশাজীবিরা। বিপাকে পড়েছেন চাষিরাও। তারাও ঠান্ডার প্রকোপের কারণে ক্ষেত খামারে কাজ করতে পারছেন না। শ্রমজীবী ও নিম্নআয়ের মানুষদের মিলছে না প্রয়োজনীয় গরম কাপড় কাপড়।
দিনমজুর আবু সায়েদ ও আয়নাল হক জানান, খুব ঠান্ডা। কিন্তু কি করবো। দিনমজুরী করে সংসার চলে। তাই কুয়াশা আর ঠান্ডার মধ্যেই কাজ করতে যাচ্ছি। কাজ না করলে চলমু কেমন করে?
ইজিবাইকচালক হামেদ আলী ও ভ্যানচালক আলী হাসান বলেন, একদিকে ঠান্ডা, তার মধ্যে ঘন কুয়াশা। কুয়াশার কারণে সহজে ভ্যানে চড়তে চায় না কেউ। তাই ভাড়া মারতে পারছি না। কয়েক দিন ধরেই ভাড়া নেই।
এদিকে, শীতের কারণে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত রোগ। শনিবার তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নে তালহা নামের এক শিশু ডায়রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসার পাশাপাশি শীতজনিত রোগ থেকে নিরাময় থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করছেন চিকিৎসকরা।
জেলার প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, আজও ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন পঞ্চগড়। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ঘন কুয়াশার কারণে দেখা মিলছে না সূর্য। আজ সকাল ৯টায় ও ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুয়াশা আর উত্তর-পূর্ব বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে যে বায়ু প্রবাহিত হওয়ার কারণে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। গতকাল বিকেলে সূর্য দেখা গেলেও সে রোদে ছিল না উষ্ণতা। বিকেল থেকেই আবার হিমেল বাতাস বইছে।
-এসকে/এমএ