দেশের ২য় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ঈশ্বরদীতে
Published : Friday, 12 January, 2024 at 3:38 PM Count : 191
মৃদু শৈত্যপ্রবাহের পাশাপাশি উত্তরের হিমেল বাতাসে বইতে শুরু করায় পাবনার ঈশ্বরদীতে শীতের তীব্রতা বাড়ছে।
শুক্রবার ঈশ্বরদী উপজেলায় এ বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। যা হচ্ছে দেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা একদিনের ব্যবধানে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কম। তাপমাত্রা আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন মোবাইলে বলেন, শুক্রবার থেকে ঈশ্বরদীতে এ মৌসুমে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। আজ ঈশ্বরদী উপজেলায় এ বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। বর্তমানে ঈশ্বরদীসহ উত্তরের কয়েকটি জেলার উপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করছে। এই অবস্থা আরও কয়েক দিন থাকতে পারে। বাড়তে পারে শীতের তীব্রতা। ফলে উত্তরের হিমেল হাওয়ার পাশাপাশি কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের কারণে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে।
এদিকে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় ঈশ্বরদী উপজেলা বিভিন্ন গ্রাম ও চরাঞ্চলে হতদরিদ্র মানুষ কষ্টের মধ্যে পড়েছেন। বেড়ে চলছে সর্দি, কাশি ও ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ। আজ সূর্যের দেখাও মেলেনি। সকাল থেকে উত্তরের হিমেল বাতাস বইছে। এ অবস্থায় শীতের তীব্রতার কারণে অনেকে বাড়ির বের হতে পারছে না। ঈশ্বরদী শহরের ফতেমোহাম্মদপুর এলাকার দিনমজুর আলাউদ্দীন আলী বলেন, "ভীষণ শীত পড়ছি আইজ। সেজন্য তীব্র শীতের মধ্যি আইজ আর ঘর থেইকা বের হই নাই। ঠান্ডায় হাত-পা জমি (জমে) যাওয়ার উপক্রম হইছে। কোনো শীতবস্ত্র পাই নাই আমি।"
বেলা ১টার দিকে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, স্টেশনে ট্রেন যাত্রীর সংখ্যা কম। তীব্র শীতের কবলে পড়ে স্টেশনের আশপাশে আশ্রয় নেওয়া হতদরিদ্র ছিন্নমূল মানুষ ভীষণ কষ্টের মধ্যে আছেন। রেল স্টেশন প্লাটফর্মে তৃণমূল মানুষদের থাকার বৈধতা না থাকায় অনেককে ইয়ার্ড ও রেল লাইনের মাঝে বসে তীব্র শীতে কাতর হতে দেখা গেছে। কথা হয় রাজবাড়ী জেলার জসীমউদ্দীন ((৪৫) নামে এক দরিদ্র ব্যক্তির সঙ্গে। ‘কেমন আছেন’ জিজ্ঞেস করায় তিনি কাতর কন্ঠে জানান, "অনেক শীত! ঠান্ডায় আমার অবস্থা ভালো না। ঠান্ডার চোটে কথা কইতে পারতেছি না।অসুস্থ হইয়া পড়ছি, পরে কথা কইমুনে।"
কেএমএইচ/এসআর