‘আগুন তোপালেও গাঁও গরম হয় না’
Published : Wednesday, 10 January, 2024 at 2:28 PM Count : 96
‘এ কি ঠান্ডা, জারতে মুই থর থর করি কাঁপছং, আগুন তোপালেও গাঁও গরম হয় না’ কথাগুলো বলছিলেন কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর বাঁধ রাস্তার খিতাবখাঁ গ্রামের বানু মামুদ (৯০)। বয়সের ভারে নুয়ে পড়া ওই ব্যক্তি পুরাতন জ্যাকেট পড়ে খরকুটো দিয়ে আগুনে শরীর গরম করার চেষ্টা করলেও তেমন গরম না হওয়ায় কথাগুলো বলছিলেন।
বুধবার সকাল ৯টার দিকে রাজারহাট উপজেলাসহ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা কমতে থাকায় রাজারহাট উপজেলায় ঠান্ডার প্রকোপ বেড়ে গেছে। মানুষ ঘর থেকে বের হতে চায় না। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মতো ঘন কুয়াশা পড়তে থাকে। সন্ধ্যা থেকে শুরু করে পর দিন দুপুর পর্যন্ত শীতের তীব্রতা থাকে অনেক বেশী। শীতের দাপটে কাবু হয়ে পড়েছেন দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষজন। ঠান্ডায় জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষের।
কনকনে ঠান্ডায় সর্দি-কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছে শিশু ও বয়স্করা।
এদিকে, ঘন কুয়াশা ও প্রচন্ড ঠান্ডার কারণে রাস্তাঘাটে যানবাহন থাকে খুবই কম। ঘন কুয়াশার কারণে সন্ধ্যার পর যানবাহন চালানো যায় না।
রাজারহাট সদর ইউনিয়নের মেকুরটারী গ্রামের ভ্যানচালক সাহেব আলী বলেন, দুই দিন ধরে বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ছে। এমন কুয়াশায় ভ্যান নিয়ে বের হওয়া যায় না। দুই দিন ধরে সূর্যের মুখ দেখা যায় না।
রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, বুধবার সকাল ৯টার দিকে রাজারহাট উপজেলাসহ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। তাপমাত্রা আরও কয়েকদিন এমন থাকবে। তবে এ মাসে আরও একটি শৈত্যপ্রবাহ কুড়িগ্রামের উপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে।
-পিএম/এমএ