ভোলায় সাবেক এমপিসহ ১২ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত
Published : Monday, 8 January, 2024 at 10:21 PM Count : 195
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোলার চারটি আসনে আওয়ামী লীগ ছাড়া সাবেক এমপিসহ প্রতিদ্বন্দ্বী সবকটি রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরাই জামানত হারিয়েছেন। চারটি আসনেই বিপুল ভোটে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা পুনরায় জয়লাভ করেছেন। কিন্তু তাদের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা বিজয়ী প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোটের ধারে কাছেও যেতে পারেননি।
ভোলা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পাওয়া নির্বাচনী ফলাফলে এ তথ্য পাওয়া যায়।
নির্বাচন কমিশনের বিধিমালা অনুযায়ী, কোনো প্রার্থীকে জামানত রক্ষা করতে হলে মোট বৈধ ভোটের (কাস্টিং ভোট) আট ভাগের এক ভাগ থেকে অন্তত একটি ভোট বেশি পেতে হবে। কিন্তু বিজয়ী চার প্রার্থী ছাড়া বাকি ১২ প্রার্থী সেই পরিমান ভোট পায়নি। ফলে তাদের সকলের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ঘোষিত প্রাথমিক বেসরকারি ফলাফলের বার্তাশিট পর্যালোচনা করে এ তথ্য জানা গেছে।
নির্বাচনী ফলাফলে আরো দেখা গেছে, ভোলা-১ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এক লাখ ৮৬ হাজার ৭৯৯ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. শাহজাহান লাঙল প্রতিকে পাঁচ হাজার ৯৮০ ভোট ও জাতীয় সমাজ তান্ত্রিক দল (জাসদ) প্রার্থী মো. ছিদ্দিকুর রহমান মশাল প্রতিকে তিন হাজার ৮২১ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। এ আসনে মোট বৈধ ভোটের (কাস্টিং ভোট) সংখ্যা এক লাখ ৯৬ হাজার ৬০০। জামানত রক্ষার জন্য এদের প্রয়োজন ছিলো ২৪ হাজার ৫৭৫ ভোট।
অপরদিকে ভোলা-২ (দৌলতখান-বোরাহানউদ্দিন) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আলী আজম মুকুল এক লাখ ৫৯ হাজার ৩২৬ ভোট পেয়ে টানা তৃতীয় বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন। তার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে জাতীয় পার্টি (জেপি) প্রার্থী বাইসাইকেল প্রতিকে তিন হাজার ১৯১ ভোট, বাংলাদেশ কংগ্রেস প্রার্থী মো. আসাদুজ্জামান ডাব প্রতিকে দুই হাজার এক ভোট ও তরিকত ফেডারেশন প্রার্থী শাহেনশাহ মো. শামসুদ্দিন মিয়া ফুলের মালা প্রতিকে এক হাজার ৩৯১ ভোট পেয়ে জানাত হারিয়েছেন। এ আসনে মোট বৈধ ভোটের (কাস্টিং ভোট) সংখ্যা এক লাখ ৬৫ হাজার ৮৩৭। জামানত রক্ষার জন্য তাদের প্রয়োজন ছিলো ২০ হাজার ৭৩০ ভোট।
এছাড়া ভোলা-৩ (লালমোহন-তজুমদ্দিন) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এক লাখ ৭১ হাজার ৯২৭ ভোট পেয়ে টানা চতুর্থ বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন। তার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে এ আসনের সাবেক এমপি স্বতন্ত্র প্রার্থী মেজর (অব.) জসিম উদ্দিন ঈগল প্রতিকে ১৭ হাজার ৮৮৬ ভোট, জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. কামাল উদ্দিন লাঙল প্রতিকে এক হাজার ৬৫৩ ভোট ও বাংলাদেশ কংগ্রেস প্রার্থী মো. আলমগীর ডাব প্রতিকে এক হাজার ৫১১ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। এ আসনে মোট বৈধ ভোটের (কাস্টিং ভোট) সংখ্যা এক লাখ ৯২ হাজার ৯৭৭। জামানত রক্ষার জন্য তাদের প্রয়োজন ছিলো ২৪ হাজার ১২২ ভোট।
পাশাপাশি ভোলা-৪ (চরফ্যাশন-মনপুরা) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব দুই লাখ ৪৬ হাজার ৪৭৮ ভোট পেয়ে চতুর্থ বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন। তার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান লাঙল প্রতিকে ছয় হাজার ৪৩ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল ফয়েজ মাথাল প্রতিকে চার হাজার ৮২৮ ভোট, তৃণমূল বিএনপি প্রার্থী মো. হানিফ সোনালী আঁশ প্রতিকে তিন হাজার ২৭৮ ভোট ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) প্রার্থী মো. আলাউদ্দিন আম প্রতিকে দুই হাজার ৩৮৫ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। এ আসনে মোট বৈধ ভোটের (কাস্টিং ভোট) সংখ্যা দুই লাখ ৩০ হাজার ১২। জামানত রক্ষায় তাদের প্রয়োজন ছিলো ৩২ হাজার ৮৭৭ ভোট।
এএম/এসআর