সৈয়দপুরে বিএনপির ১০ নেতাকর্মী আটক
Published : Wednesday, 3 January, 2024 at 5:22 PM Count : 394
সন্ত্রাস দমন ও বিস্ফোরণ নিয়ন্ত্রণ মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে নীলফামারীর সৈয়দপুরে বিএনপির ১০ নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার (৩ জানুয়ারী) নীলফামারীর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জামিন আবেদন নাকচ করে তাদের জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন। আটক বিএনপি নেতারা হলেন- নীলফামারী জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট এস এম ওবায়দুল ইসলাম, সদস্য প্রভাষক শওকত হায়াত শাহ, কোষাধ্যক্ষ ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর আবিদ হোসেন লাড্ডান, সৈয়দপুর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ বাবলু, যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন হাবলু, বিএনপি কর্মী জাহিদ হাসান, শাহীন আকতার, দেলোয়ার হোসেন, মাহবুব আলম, লাড্ডান ওরফে ইমরান।
গত বছরের ২৮ অক্টোবর ঢাকার মহাসমাবেশ পন্ড হওয়ার ঘটনায় ঘোষিত হরতালের ডাক দেয় বিএনপি। হরতালের প্রথমদিন কর্মসূচি চলাকালে আওয়ামী লীগ হরতাল বিরোধী মিছিল করে। মিছিলটি শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কে জেলা বিএনপির অফিসের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় বিশৃঙ্খলা হয়। এর প্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিএনপি অফিস থেকে লাঠিসোটা উদ্ধার করে এবং সন্ত্রাস দমন ও বিস্ফোরক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে।
এই মামলায় ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামাদের আসামী করা হয়। এরপর জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর এরশাদ হোসেন পাপ্পু এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর তারিক আজিজ ও যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক রেজওয়ান আকতার পাপ্পুকে গ্রেফতার করা হয়। অন্য আসামীরা হাইকোর্টের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নেয়। আগামীকাল ৪ জানুয়ারী পর্যন্ত এর মেয়াদ ছিল। সে কারণে বুধবার নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে আবার জামিন প্রাপ্তির আবেদন করে এই ১০ নেতা।
নীলফামারী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাহমুদুল করিম তাদের আবেদন নাকচ করে। জামিন না দিয়ে তাদের গ্রেফতারের নির্দেশ প্রদান করেন।
সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল গফুর সরকার বলেন, বিএনপি নেতাকর্মী শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের সময় পুলিশ আটক করে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। বিএনপি দলীয় অফিসে থেকে কোন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা অগ্নিসন্ত্রাসী কাজ বিএনপি করে না। বিএনপি একটি শান্তি প্রিয় দল। আমরা আটককৃতদের মুক্তি দাবি করছি।
এসএএস/এসআর