তেঁতুলিয়ায় শিশির ঝরা হিম শীতল বাতাসে বেড়েছে শীতের পারদ
Published : Tuesday, 2 January, 2024 at 10:26 AM Count : 167
ঘন কুয়াশা ও শিশির ঝরা হিম শীতল বাতাসে বেড়েছে শীতের পারদ। শীতের তীব্রতায় কাবু হয়ে পড়েছে উত্তরের হিমাঞ্চল জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া। বছরের শুরুতেই শীতের এমন ধাক্কায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এ সীমান্তবর্তী জনপদ। এতে করে শৈত্যপ্রবাহের কাছাকাছি অবস্থানে এ জেলাটি।
মঙ্গলবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর তিন ঘন্টা আগে ভোর ৬টায় ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে।
সোমবার তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর তিন ঘন্টা আগে ভোর ৬টায় ১১ দশমিক ৭ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
সকালে আবহাওয়ার তথ্যটি জানিয়েছেন জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেয়া তথ্যানুযায়ী, নতুন বছরের প্রথম দিনেই দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে এ জেলা। বিদায়ী বছর ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে এ জেলায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ২৩ দিন। তার মধ্যে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে ছয় দিন। ১১ থেকে ১২ ডিগ্রির মধ্যে ছয় দিন, ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রির মধ্যে ছয় দিন, ১৩ থেকে ১৪ ডিগ্রির মধ্যে চার দিন, ১৪ থেকে ১৫ ডিগ্রির মধ্যে দুই দিনসহ তার উপরেই তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে।
বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, ভোর থেকেই ঘন কুয়াশার আবরণে এ জেলা। কুয়াশার সঙ্গে ঝরছে হিম শিশির। তার সঙ্গে বইছে হিমেল হাওয়া। এতে করে কুয়াশা ঝরা ঠান্ডা বাতাসের কারণে নেমে এসেছে স্থবিরতা। সকালে বিভিন্ন যানবাহনগুলোকে সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে দেখা গেছে। শহরের মানুষরা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের না হলেও জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করেই নিম্নআয়ের মানুষগুলো বেরিয়েছেন কর্মসংস্থানে। কেউ যাচ্ছেন দিনমজুরি দিতে, কেউ পাথর তুলতে, কেউ চা বাগানে।
তারা বলছেন, পেটের তাগিদেই শীতের দূর্ভোগ সহ্য করেই কাজে বেরিয়েছেন।
এদিকে, সন্ধ্যার পর তীব্র শীত বইলেও আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ও নির্বাচনী সভার মধ্য দিয়ে শীতে ঘাম ঝরাচ্ছেন প্রার্থী ও তার সমর্থকরা।
হানিফ আলী, আব্দুল সাত্তার ও জমির আলীসহ স্থানীয়রা জানান, প্রচন্ড ঠান্ডা পড়েছে আবার। ভোর থেকেই ঘন কুয়াশায় ঢাকা আমাদের এ এলাকা। হিম শীতল হাওয়া ও কুয়াশায় ঠান্ডা লাগতেছে।
গ্রামীণ নারীরা জানান, বৃষ্টির মতো শিশির ঝরছে রাত থেকে ভোর পর্যন্ত। ঘরের মেঝে, আসবাবপত্র, দরজা ও বিছানা পর্যন্ত ঠান্ডায় বরফ হয়ে উঠেছে। প্রচন্ড ঠান্ডা। সকালে কাজ করতে খুব কষ্টকর হয়ে উঠেছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, গতকালের চেয়ে তাপমাত্রা কমেছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। ভোর ৬টায় রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার রেকর্ড হয়েছিল ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সামনে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
-এসকে/এমএ