বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) বাংলাদেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্র শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সিল ভবনে সেমিনারে প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার ও বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খান উপস্থিত ছিলেন।
বুয়েট ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. ফারসীম মান্নান মোহাম্মদীর সঞ্চালনায় সেমিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বুয়েটের সিন্ডিকেট সদস্যরা।
এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের সাবেক সদস্য অধ্যাপক ডা. শাহ আব্দুল লতিফ, দি ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট অব বাংলাদেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক ড. এস এম আনোয়ারা বেগম, একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক দেশের গণতন্ত্রের স্থিতিশীলতার সঙ্গে উন্নয়নের যোগসূত্র তৈরি করে বক্তব্য দেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, উন্নয়ন করতে হলে প্রয়োজন প্রযুক্তি। গণতান্ত্রিক সরকার ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব না। গণতন্ত্রের বিকাশের মাধ্যমেই বিকশিত হবে তথ্য-প্রযুক্তি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খান বলেন, আমরা দূরত্বকে এখন আর কিলোমিটার কিংবা মাইলে নির্ণয় করি না।
এখন আমরা দূরত্বকে সময় দিয়ে প্রকাশ করছি। এটিই উন্নয়নের নিদর্শন। এই উন্নয়নগুলো গণতন্ত্রের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
আলোচকের বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, উন্নয়ন সুসংহত হবে যদি গণতন্ত্র থাকে।
উন্নয়ন ও গণতন্ত্র একই সুতোয় গাঁথা। এটি মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। আর এসবের মূল ভিত হলো শিক্ষা।
একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত বলেন, বুয়েট একটি ভরসার জায়গা। বুয়েট অনুমোদিত দেখলেই আমরা আস্থা পাই।
উন্নয়ন ও গণতন্ত্র নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, সরকার প্রযুক্তি উন্মুক্ত করে দিয়েছে এটিই গণতন্ত্র। গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে প্রযুক্তি অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে।
দি ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট অব বাংলাদেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, পাকিস্তান কর্তৃক বাংলাদেশ শাসনের ২৩ বছরে ৫০ লক্ষ কোটি টাকার সম্পদ সরিয়ে নেয় পাক সরকার। ব্যাংক থেকে লিকুইড মানিও সরিয়ে নিয়েছিল তারা। বাংলাদেশের ২০০৯ থেকে ২০২৩ সালের শাসনকে স্বর্ণযুগ বলে মন্তব্য করেন ড. জামাল।
বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের সাবেক সদস্য অধ্যাপক ডা. শাহ আব্দুল লতিফ গণতন্ত্রের স্থিতিশীলতার কারণে দেশের স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন অর্জনের কথা তুলে ধরেন তাঁর বক্তব্যে। এ ছাড়া রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আলোকে উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা প্রদান করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক ড. এস এম আনোয়ারা বেগম।
সেমিনারে বুয়েটের ডিনবৃন্দ, বিভিন্ন পরিদপ্তরের পরিচালকরা, বিভাগীয় প্রধানরা, বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, ছাত্র-ছাত্রী ও বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
এমবি