নালিতাবাড়ীতে জেঁকে বসেছে শীত
Published : Tuesday, 12 December, 2023 at 12:05 PM Count : 237
শীতে কাঁপছে ভারত সীমান্তঘেঁষা শেরপুরের গারো পাহাড়ি জনপদ নালিতাবাড়ী উপজেলার মানুষ। জেঁকে বসা শীতের সাথে পাল্লা দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে শৈত্য প্রবাহ। এতে কষ্ট বেড়েছে দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষের। বিশেষ করে করে পাহাড়ের অভ্যন্তরে ও পাদদেশে বসবাসকারী মুসলিম সম্প্রদায়সহ উপজাতি গরো ও কোচ সম্প্রদায়ের মানুষের কষ্ট বেড়েছে দ্বিগুণ।
কনকনে ঠান্ডা শীতের মাঝে কাজে যোগ দিতে পারছে না শ্রমিকরা। শীতের হাত থেকে বাদ পড়ছেনা গবাদি পশুরাও। গবাদিপশুদের চটের বস্তা গায়ে দিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করেছেন কৃষকরা। পাশাপাশি চলছে বোরো আবাদের বীজতলা তৈরির কাজ। টানা শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকলে আসন্ন বোরো আবাদের বীজতলার ক্ষতি হতে পারে বলে কৃষকরা জানান।
গত কয়েক দিন ধরে উপজেলার সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকা সমেশ্চুড়া, মধুটিলা, বুরুঙ্গা, কালাপানি, আন্ধারুপাড়া, খলচান্দা, বারোমারী, দাওধারা, কাটাবাড়ি, হাতিপাগার, নাকুগাঁও, কালাকুমা, তারানী, পানিহাটা ও মায়াঘাসী এলাকার পাহাড়ি পল্লীতে চলছে কনকনে শীতের মহড়া। উত্তরে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের হিমালয় পর্বতের হিমবায়ু আর ঘন কুয়াশায় এখন এলাকায় জেঁকে বসেছে প্রচন্ড শীত। এতে খেটে খাওয়া ছিন্নমুল মানুষগুলো প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্রের অভাবে পড়ছেন।
গারো আদিবাসী নেতা ও সাবেক ট্রাইবাল চেয়ারম্যান মি. লুইস নেংমিনজা জানান, পাহাড়ি এলাকায় দিন দিন শীত বাড়ছে। প্রচন্ড শীতের কারনে সীমান্ত এলাকার গারো আদিবাসীরা আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। প্রতিবছর এভাবেই শীতের সঙ্গে লড়াই করে তাদেরকে বেঁচে থাকতে হয়। এসব অঞ্চলের শীতার্ত মানুষ পাহাড় থেকে লাকড়ি ও খরকুটা সংগ্রহ করে আগুন দিয়ে তা জ্বালিয়ে শরীর ছেঁকে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
আন্ধারুপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহিম বলেন, ভিতর এলাকার চেয়ে সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকায় শীত পড়ে বেশি। সেই হিসেবে এই এলাকার গরীব অসহায় মানুষ তেমন শীতবস্ত্র পায় না।
সীমান্তবর্তী পাহাড়ি খলচান্দা গ্রামের বাসিন্দা কোচ আদিবাসী পরিমল কোচ বলেন, সমতলের চেয়ে পাহাড়ে শীত পড়েছে বেশি। বেলা ১০/১১ টার আগে সুর্যের দেখা পাওয়া যায় না। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্রের অভাবে রাত জেগে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছে মানুষ। তাছাড়া কোচরা সবসময়ই সরকারি বরাদ্ধের চেয়ে শীতবস্ত্র কম পায়।
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইলিশায় রিছিল জানান, সরকারীভাবে এ উপজেলায় শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। খুব শীঘ্রই শীতার্থ মানুষের মাঝে এই কম্বল বিতরণ করা হবে।
এমএস/এসআর