বৃষ্টির পরে কমছে তাপমাত্রা, বাড়ছে ঠান্ডা
Published : Sunday, 10 December, 2023 at 12:36 PM Count : 621
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে বৃষ্টির পরে কমতে শুরু করেছে তাপমাত্রা। ক্রমেই বাড়ছে ঠান্ডা। ঘনকুয়াশায় ঢেকে গেছে চারদিক। ঘুর্নিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে বৃহস্পতিবার দিনভর গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হওয়ার পরে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার সর্বত্রই ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে দিন-রাতের তাপমাত্রা। শনিবার সন্ধ্যা থেকে তা আরো কমে ঠান্ডার কাপুনি ধরিয়েছে মানুষের শরীরে।
এরপর ঘনকুয়াশায় ঢেকে যায় পথ-ঘাট। ঠান্ডার তীব্রতা সইতে না পেরে তাই দ্রুত বাসায় ফেরে মানুষ। সারারাত বৃষ্টির মত গাছের পাতা বেয়ে টুপটুপ কুয়াশা ঝরে।
রবিবার সকালে এসে কুয়াশার ঘনত্ব আরো বাড়ে। সুর্য্য পুর্ব আকাশে সময়ের নিয়মে আসীন হলেও কুয়াশার আস্তরন ভেদ করে এর আলোক রশ্মি পৃথিবীতে পৌঁছাতে পারেনি।
সঙ্গে হালকা বাতাসে তাপমাত্রা কমে ঠান্ডার তীব্রতা আরো বাড়িয়েছে। সে ঠান্ডা সুইয়ের মত বিধতে থাকে মানুষের শরীরে। ঠক ঠক কাঁপতে থাকে শরীর, হাত, পা। অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে ঠান্ডা নিবারনের চেষ্টা চালালেও তা যথেষ্ট নয়।
পৌরসভার পুর্ব সাঞ্জুয়ারভিটার মনছুর আলী (৭৮), নেওয়াশী গিড়াইয়ের পাড় এলাকার অমল (৭৫), আব্দুল জব্বার (৮০)), প্রমোদা (৭০), সোনা উদ্দিন (৮২)সহ অনেকেই তাদের আঞ্চলিক ভাষায় জানান, হঠাৎ করি একেবারে জার নামি গেইল বাহে। হাত, পাও গডগড করি কাঁপে। সইবারে পাই না।
অনেক বেলা অবদি সুর্য্যের দেখা না মেলায় এদিন সকাল এসেছে দেরীতে। অনেকেই অলসতায় সময়ের অনেক পরে বিছানা ছেড়ে শুভ সকালকে স্বাগত জানানোয় তাদের কর্মক্ষেত্রে যেতে বিলম্ব হয়েছে। অন্যরা বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সকাল সকাল বাড়ির বাইরে তেমন একটা বের হননি। তবে বছরের শেষে কুয়াশা, ঠান্ডা উপেক্ষা করে কোমলমতির শিক্ষার্থীরা গেছে স্কুলে। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন চরাঞ্চলীয় খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। ঠান্ডা উপেক্ষা করে তারা কাজে গেছেন।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, রবিবার সকাল ৬ টায় সর্বনিম্ন ১৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ধীরে ধীরে তা আরো কমবে।
কেএস/এমবি