Friday | 7 February 2025 | Reg No- 06
Epaper | English
   
Friday | 7 February 2025 | Epaper

আলু-পেঁয়াজের দাম কমলেও সবজি-মুরগির দাম বেড়েছে

Published : Friday, 29 December, 2023 at 12:02 PM  Count : 103

সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন আলু ও পেঁয়াজের দাম কমলেও শীতকালীন সবজি ও ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহের তুলনার ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

গরিবের মাছ হিসেবে খ্যাত পাঙ্গাশ, তেলাপিয়া, চাষের কইসহ সব ধরনের মাছের বাজারই ছিল চড়া। বছরের শেষ সময়ে এসেও আগের সেই বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে মাছ।

অন্যদিকে কিছুদিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গরুর মাংস ৬০০/৬৫০ টাকায় বিক্রি হলেও ফের দাম বাড়িয়ে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি খাসির মাংস ১১০০ টাকা আর এছাড়া ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজি ২০০ টাকা হলেও লেয়ার, কক, সোনালী মুরগির দাম বাড়তি যাচ্ছে।

শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে এমন চিত্র দেখা গেছে।
তেলাপিয়া মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা, পাঙ্গাশ প্রতি কেজি ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, চাষের কই প্রতি কেজি ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা, শিং মাছ প্রতি কেজি ৫০০ টাকা, শোল ছোট সাইজের প্রতি কেজি ৫০০ টাকা, আর মাঝারি সাইজের ৮০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে, প্রতি কেজি রুই ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, গলসা প্রতি কেজি ৬০০ টাকা, পাবদা প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, চিংড়ি প্রতি কেজি ৬০০ টাকা, গলদা প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, টাকি মাছ প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতল মাছ প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩৩০ টাকা, আইড় মাছ ছোট সাইজের কেজি ৭০০ টাকা, টেঙরা মাছ ছোট প্রতি কেজি ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা, বোয়াল প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা এবং রূপচাঁদা প্রতি কেজি আকার ভেদে ৮০০ থেকে ১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া, বাজারে ব্রয়লার কেজি ২০০ টাকা, সোনালী মুরগি প্রতি কেজি ৩৩০ টাকা, লেয়ার প্রতি কেজি ৩২০, কক প্রতি কেজি ৩২০ এবং পাতি হাঁস প্রতি পিস ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তবে বাজারে মাছের দামের বিষয়ে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ জানাচ্ছেন ক্রেতারা।

শেওড়াপাড়া বাজারের মুরগি বিক্রেতা রাকিব বলেন, গত এক মাস ধরে মুরগির বাজার বাড়তি রয়েছে। প্রতি সপ্তাহেই মুরগির দাম বাড়ছে। পাইকারি বাজারে দাম বাড়ায় আমরাও বাড়তি দামে বিক্রি করছি বলে তিনি উল্লেখ করেন।

রাজধানীর মহাখালীতে বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী খাদেমুল ইসলাম বলেন, বাজারে আসলে অতিরিক্ত দামের কারণে কোনো মাছই কেনা যায় না। গরিবের মাছ তেলাপিয়া, পাঙ্গাশ, চাষের কই’য়ের দামও চড়া। আর অন্য কোনো মাছ তা কেনার কথা ভাবাই যায় না। এখন পাঙ্গাশ মাছও কেজি ২২০/২৪০ টাকা করে কিনতে হয়।

মালিবাগে বাজারে মাছ কিনতে আসা গার্মেন্টস কর্মী মাসুদুর রহমান বলেন, ইদানীং বাজারে এলে মাছ কিনতে পারি না বাড়তি দামের কারণে। বাজারে সবচেয়ে কম দামের মাছও এখন বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে। দরদাম করে সবশেষে তেলাপিয়া মাছ কিনলাম তাও ২২০ টাকা কেজি দরে। এই বছর কোনো সময়ের জন্যই কোনো মাছের দাম কমেনি। আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষরা কোনো মাছই এখন সেভাবে কিনতে পারছি না।

গুলশান সংলগ্ন লেকপাড় বাজারের বিক্রেতা জামাল উদ্দিন বলেন, মাছের খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ার পর থেকেই সব ধরনের মাছের দাম চড়া যাচ্ছে। এছাড়া মাঝে হরতাল অবরোধের কারণে পরিবহন ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় মাছের দামও বেড়েছিল। এরপর থেকে দাম নতুন করে কমেনি।

তিনি বলেন, পাইকারি বাজারেই আমাদের সব ধরনের মাছ বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে। এরপর পরিবহন খরচ, শ্রমিক খরচ, রাস্তা খরচ, দোকান ভাড়া সব মিলিয়ে দাম আগের চেয়ে কিছুটা বেশিই যাচ্ছে। আমাদের মাছ কেনা যখন কম দামে পড়বে তখন আমরাও খুচরা বাজারে কম দামেই বিক্রি করতে পারব।

-এমএ
Related topic   Subject:  আলু   পেঁয়াজ   সবজি   মুরগি   দাম  


LATEST NEWS
MOST READ
Also read
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000.
Phone: PABX- 41053001-06; Online: 41053014; Advertisement: 41053012.
E-mail: [email protected], news©dailyobserverbd.com, advertisement©dailyobserverbd.com, For Online Edition: mailobserverbd©gmail.com
🔝
close