জনবল সংকট নিয়েই চলছে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়ের কার্যক্রম। সাত জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে কর্মরত রয়েছেন মাত্র তিন জন। এতে কাজ করতে ভোগান্তি পোহাচ্ছে কার্যালয়টি। কর্মকর্তা-কর্মচারী সংকটে মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তরের কর্মকাণ্ডে স্থবিরতা বিরাজ করছে।
শূন্য পদগুলো হলো, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা, একাডেমি সুপারভাইজার, অফিস সহায়ক ও হিসাব রক্ষক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কমলগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তরে কর্মকর্তা ও কর্মচারী সংকট রয়েছে দীর্ঘদিন যাবত। এতে দাপ্তরিক কর্মকাণ্ডে নেমে এসেছে স্থবিরতা। লোকবলের অভাবে শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে নিয়মিত বিদ্যালয় পরিদর্শন ও মনিটরিং কাজ ব্যাহত হচ্ছে। এ উপজেলায় মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তরের অধীনে ২৩টি মাধ্যমিক, ছয়টি জুনিয়র স্কুল, ছয়টি মাদ্রাসা ও চারটি কলেজ রয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, এ দপ্তরটিতে সাতটি পদের বিপরীতে কর্মরত রয়েছেন মাত্র তিন জন। মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (সহকারী) পদটি কয়েক বছর থেকে শূন্য। বর্তমানে একাডেমিক সুপারভাইজার ডেপুটেশনে নরসিংদী জেলা শিক্ষা কার্যালয়ে কর্মরত আছেন। তবে তিনি বেতন ভাতা ভোগ করেন কমলগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক অফিস থেকে। এছাড়া আরেকজন রয়েছেন অফিস সহায়ক ও নাইট গার্ড। বাকি পদগুলো শূন্যই রয়েছে দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত।
জানা গেছে, শূন্য পদগুলো পূরণের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বার বার অবহিত করা হলেও কোনো ফল হয়নি।
উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি সত্যেন্দ্র কুমার পাল জানান, বেতন-ভাতাসহ স্কুলের বিভিন্ন কাজে তাদেরকে প্রায়ই শিক্ষা অফিসে যেতে হয়। কিন্তু শিক্ষা অফিসে পর্যাপ্ত লোকবল না থাকায় সেখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করা লাগে। ফলে স্কুলে পর্যাপ্ত সময় দিতে না পারায় ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার বিঘ্ন ঘটছে। দ্রুত সময়ের ভেতরে শুন্য পদ পূরণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানাচ্ছি।
উপজেলা শিক্ষা অফিসের অফিস সহায়ক কাজল জানান, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার ও হিসাব রক্ষক পদগুলো শূন্য থাকায় তিনি একাই এ দপ্তরের সব কাজ পরিচালনা করছেন। এতে অফিসে আসা শিক্ষকদের ভোগান্তিতে পড়াসহ কার্যক্রম চালিয়ে নিতে তাকে অনেক বেগ পেতে হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, তিনি আগামী জানুয়ারি মাসে অবসরে যাবেন। তখন আরও সমস্যায় পড়বে মাধ্যমিক অফিস।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তরের কর্মকর্তা শামসুন্নাহার পারভীন জানান, প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে দাপ্তরিক কাজ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। কাজের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সভায় যোগ দিতে হয়। তারপরও সবকিছু সামাল দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। শূন্য হয়ে থাকা পদ পূরণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
জেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ ফজলুর রহমান মুঠোফোনে জানান, এসব শূন্য পদগুলো মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। আমাদের করার কিছু নেই। এ জেলার অনেক অফিসে এ সমস্যা আছে। মাউশি আমাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়েছে শূন্য পদগুলোর। আশা করছি দ্রুত সময়ের ভেতরে সমাধান করবে।
-এসএস/এমএ
