বাউফলে আ.লীগের কোন্দল নিরসনের উদ্যোগ
Published : Saturday, 14 October, 2023 at 5:15 PM Count : 933
বাউফল উপজেলা আওয়ামীলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসনের ক্ষেত্রে অবশেষে কঠোর অবস্থান নিয়েছে পটুয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগ। দীর্ঘ বছর ধরে কোন্দলে জর্জরিত দলের বিতর্কীত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষনা দিয়েছেন পটুয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কাজী আলমগীর।
শনিবার বাউফল উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয় জনতা ভবনে আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন তিনি। এ সময় কাজী আলমগীর বলেন, বিগত কাউন্সিলে আমরা আসম ফিরোজকে সভাপতি ও মোতালেব হাওলাদারকে সাধারণ সম্পাদক করে উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটি অনুমোদন দেই। ওই সময় জসীম উদ্দিন ফরাজী ও এসএম ইউসুফ একটি পাল্টা কমিটি দিয়ে দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি করেন। আমরা খুব শিগগিরই অবৈধ কমিটির ব্যাপারে জসীম উদ্দিন ফরাজীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেব।
সম্প্রতি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব হাওলাদার ফেসবুকে বিদেশে নিয়ে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ব্যবস্থার দাবী করে যে বিতর্ক তৈরি করেছেন তা নিয়ে কাজী আলমগীর বলেন, আমরা মোতালেব এর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছি। তাকে আর দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রাখতে চাই না। এ সময় সংগঠনকে শক্তিশালী করতে সব ধরণের পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলেন তিনি।
জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ আসম ফিরোজ এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পটুয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ভিপি আবদুল মান্নান, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি হারুন অর রশিদ খান প্রমুখ।
সমাবেশ প্রায় ৩ হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। এদিকে একই দিন বাউফল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব হাওলাদারের অনুসারী কয়েকশ নেতাকর্মী বগা বন্দরে শান্তি সমাবেশ করেছেন। ওই সমাবেশের নেতৃত্ব দিয়েছেন আবদুল মোতালেব হাওলাদারের ছেলে বগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান। দীর্ঘদিন থেকে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আসম ফিরোজ এমপি ও সাধারণ সম্পাদক মোতালেব হাওলাদারের মধ্যে বিরোধ চলছে। আসম ফিরোজকে ছেড়ে মোতালেব হাওলাদার আওয়ামীলীগের অপরপক্ষ জসীম উদ্দিন ফরাজী ও বাউফল পৌরসভার মেয়ার জিয়াউল হক জুয়েলের সঙ্গে হাত মেলান।
উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শাহজাহান সিরাজ বলেন, আবদুল মোতালেব হাওলাদার ও জসীম ফরাজীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের উদ্যোগ নেয়ায় দল মোস্তাক মুক্ত হবে। এতদিন পরে বিতর্কীতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ায় জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ধন্যবাদ জানান তিনি।
অবশ্য উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব হাওলাদার বলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এমন কথা বলতে পারেন না। তিনি আমার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছেন। এখন আমি সাধারণ সম্পাদক থাকবো কি থাকবো না সে সিদ্ধান্ত দেবে কেন্দ্র।
এএস/এসআর