২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও দীর্ঘ ২১বছরেও সরকারিভাবে কোন উন্নয়ন বা বহুতল একাডেমিক ভবন নির্মান হয়নি নীলফামারীর জলঢাকার একটি কলেজে।
দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্টানের উন্নয়ন হলেও কলেজটি প্রতিষ্ঠার পর হতে আজ পর্যন্ত সরকারী সকল উন্নয়ন হতে বঞ্চিত জলঢাকা আইডিয়াল কলেজটি।
কলেজটি প্রতিষ্ঠার পর হতে বর্তমান পর্যন্ত এমপিও ও ননএমপিও মিলে শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা ৬৩ জন। কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক ও ডিগ্রী পর্যায়ের মোট ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৯শত জন।
এ কলেজটির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছিলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক এমপি আলহাজ্ব মিজানুর রহমান চৌধুরী।
প্রতিষ্ঠানটিতে ৭৫ শতক জমি শিক্ষা বিস্তারের জন্য দান করেন সাবেক সাংসদ আলহাজ্ব মিজানুর রহমান চৌধুরী ও অধ্যক্ষ আজিজুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের পদচারনায় ভরপুর কলেজটি নানান সমস্যায় জর্জরিত থাকার পড়েও থেমে নেই শ্রেনী কক্ষে পাঠদান কার্যক্রম।
এই কলেজে প্রত্যহ সকাল থেকে দপুর পর্যন্ত পাঠদানের মাধ্যমে প্রতিবছর উচ্চমাধ্যমিক ও ডিগ্রী পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহন করে ভালো ফলাফল করে প্রতিষ্ঠানটির সুনাম বৃদ্ধি করে আসছে।
কলেজে শিক্ষার সুষ্ঠ পরিবেশ বজায় থাকাসহ বিভিন্ন কারনে প্রতিষ্ঠানটির সুনাম থাকার পরেও সেখানে কোন বহুতল একাডেমিক ভবন সহ ছাত্রীদের কমন রুম, অডিটরিয়াম, ছাত্র মিলনায়তন নেই । মাত্র একটি শৌচাগার আছে সেটি ব্যবহার করে ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, শিক্ষিকা/কর্মচারীরাও। এমন কি শ্রেণি কক্ষ সহ আসবাপ পত্রেরও সংকট সহ নেই কলেজের বাউন্ডারী দেওয়াল।
কলেজের শিক্ষার্থী সাথী আক্তার, অবিনাশ চন্দ্র রায়, অনন্ত কুমার রায়, সুরভী রানী রায়, পূজা রানী,সালমা আক্তার,,নাজমীন বেগম,হাসিনা বানু,সহ তারা সকলেই এ প্রতিবেদককে জানান, এ কলেজের লেখাপড়ার মান সহ শিক্ষার পরিবেশ ভালো । এখানে শিক্ষকদের পাঠদান ও আন্তরিকতায় আমরা মুগ্ধ।
কিন্তু‘ এখানে অনেক সমস্যা রয়েছে।তা দ্রুত সমাধান করতে হবে । যদি সরকার এই কলেজটির দিকে দৃষ্টিপাত করেন তবেই এখানে উন্নয়ন হওয়া সম্ভব! আর আমরাও পেয়ে যাবো সুন্দর একটি বিদ্যাপীট।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রশিদুল ইসলাম বলেন, আমি চলতি বছরের ২৬ শে জুন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেছি। আমাদের কলেজে উন্নয়ন নেই ২১ বছর ধরে। আমি সরকারের সু-দৃষ্টি কামনা করছি অন্তত ৯শত শিক্ষার্থীর কথা ভেবে কলেজের উন্নয়নের দাবী করেন।
তিনি আরো বলেন বর্ষা ও বৃষ্টি পড়লেই পানিতে ডুবে যায় কলেজটির মাঠ। সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতার। এতে করে শিক্ষার্থীসহ শিক্ষকদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান সভাপতি হিসাবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল মান্নান বিএ ০৯ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করছেন।
এদিকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার সাথে সাথে এ কলেজটিও যাতে আধুনিক সুযোগ সুবিধা সহ স্মার্ট কলেজ হিসেবে গড়ে উঠতে পারে সরকারে কাছে সেই দাবী জানান কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা সহ কর্মচারীরা।
এইচএস/এমবি