পরকীয়ার জেরে কলেজছাত্রকে হত্যা, স্বামী-স্ত্রী গ্রেপ্তার
Published : Wednesday, 13 September, 2023 at 2:45 PM Count : 224
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার ধরঞ্জীতে পরকীয়ার জেরে নিখোঁজের প্রায় পাঁচ মাস পর কলেজছাত্র নাঈমের মরদেহ বাড়ির পাশে নতুন টয়লেটের গর্ত খুড়তে গিয়ে মাথার খুলিসহ হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় বাড়ির মালিককে আটকের পর হত্যাকাণ্ডের মূলপরিকল্পনাকারী রেজ্জাকুল ও তার স্ত্রী সাবিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বগুড়ার সদর উপজেলার পীরগাছা এলাকা থেকে স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৫ ও ১২ সদস্যরা।
রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানান জয়পুরহাট র্যাব-৫ সিপিসি-৩ ক্যাম্পের অধিনায়ক সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, রেজ্জাকুল ওরফে রাজ্জাক (৪৩) ও তার স্ত্রী সাবিনা খাতুন (৩৮)। তারা বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার গোপীনাথপুর এলাকার বাসিন্দা। গত কয়েকমাস ধরে তারা পাঁচবিবি উপজেলা ধরঞ্জী গ্রামে সামছুলের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ০৯ সেপ্টেম্বর পাঁচবিবি উপজেলার ধরঞ্জী গ্রামে সামছুল ইসলামের বাড়ির পাশে টয়লেটের মাটি খনন করতে যান নির্মাণ শ্রমিক। সে সময় গর্তের স্থানে লাউ গাছ লাগিয়ে জাঙলা দেওয়া ছিল। নির্মাণ শ্রমিক লাউ গাছ সরানোর জন্য মাটিতে কোদালের কোপ দিলে লাউ গাছসহ মাটি নীচে দেবে গিয়ে দুর্গন্ধ বের হতে থাকে। এরপর পুলিশকে খবর দিলে সেখান থেকে মানুষের মাথার খুলি, হাড়গোড় ও পড়নে প্যান্টসহ গলিত মরদেহ পাওয়া যায়। পরে প্যান্ট দেখে মরদেহটি নাঈম হোসেনের (২৩) বলে শনাক্ত করে তার পরিবার।
এ ঘটনায় থানায় বাদি হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন নাঈম হোসেনের মা গোলাপি বানু। মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে জয়পুরহাট র্যাব-৫ সিপিসি-৩ ও বগুড়ার র্যাব-১২ সদস্যরা যৌথ অভিযান চালিয়ে বগুড়া সদরের পীরগাছা এলাকা থেকে রেজ্জাকুল ওরফে রাজ্জাক ও তার স্ত্রী সাবিনা খাতুনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পাঁচবিবি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
পাঁচবিবি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদুল হক বলেন, মরদেহের প্যান্ট, বেল্ট দেখে পরিচয় নিশ্চিত হয়ে নিহতের মা বাদি হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় পরকীয়ার জেরে নাঈম হোসেনকে হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ভাড়াটিয়া রাজ্জাকের স্ত্রী সাবিনার সঙ্গে পরকীয়ার কারণে নাঈম হোসেনকে হত্যার পর মরদেহ গুম করতে মাটি খুঁড়ে লুকিয়ে রাখা হয়। আসামিদের আদালতে পাঠানো হবে এবং রিমান্ড চাওয়া হবে।
গত ২২ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে ধরঞ্জী বাজারে যাওয়ার কথা বলে বের হয়ে বাড়ি ফিরেনি নাঈম। অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে ২৫ এপ্রিল পাঁচবিবি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার মামা জাহেদুল ইসলাম। জিডির পর প্রায় পাঁচ মাস ধরে নিখোঁজ নাঈমের সন্ধানে পুলিশ তৎপরতা অব্যাহত থাকলেও সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিলনা। অবশেষে প্রায় পাঁচ মাস পর তার মরদেহ পাওয়া যায়।
-এসআই/এমএ