মা হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন
Published : Tuesday, 29 August, 2023 at 9:39 PM Count : 159
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে মাকে মারধর করে হত্যার দায়ে ছেলেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে চাঁদপুরের জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ মো. মহিসনুল হক এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আবুল কালাম বাহার (৫০) উপজেলার গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের পূর্ব ধানুয়া গ্রামের মিজি বাড়ির মৃত আব্দুল খালেক মিজির ছেলে।
নিহত ছালেহা খাতুন (৮০) দণ্ডপ্রাপ্তের মা।
মামলার বিবরণ ও বাদি মো. রুহুল আমিন মিজির সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, আসামী বাহার এক সময় প্রবাসে ছিলেন। দেশে ফিরে সে অনেক সময় এলোমেলো কথাবার্তা বলতেন। যার কারণে তার স্ত্রী চলে যায়। এরপরে বিভিন্ন সময়ে বাহার তার মাকে মারধর করে আহত করত। ঘটনার দিন ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে মায়ের ঘরে প্রবেশ করে অতর্কিত ভাবে মারধর করে বাহার। ধাক্কাধাক্কির একপর্যায়ে ঘরের স্টিলের দরজার আংটা মায়ের চোখে ডুকে যায় এবং তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। ঘরের অন্য সদস্যরা চিৎকার দিলে লোকজন এগিয়ে এসেছালেহা খাতুনকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাপসাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরে ফরিদগঞ্জ ও চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ মরদেহ সুরতহাল করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের নিকট ছালেহা বেগমের মরদেহ হস্তান্তর করে। এ ঘটনায় ছালেহা খাতুনের মেয়ের জামাতা মো. রুহুল আমিন মিজি ঘটনার পর দিন (২৪ জুলাই) ফরিদঞ্জ থানায় আবুল কালাম বাহারকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয় ফরিদগঞ্জ থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাজী মো. জাকারিয়াকে। তিনি মামলাটি তদন্ত শেষে ওই বছরের ১৩ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
সরকারপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটার (পিপি) রনজিত রায় চৌধুরী জানান, মামলাটি চার বছরের অধিক সময় চলাকালীন সময়ে আদালত ১২ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন। স্বাক্ষ্য গ্রহণ ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে আসামির অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক এ রায় দেন। রায়ের সময় আসামি আবুল কালাম বাহার উপস্থিত ছিলেন।
আসামিপক্ষে সরকার থেকে নিযুক্ত (এসডিএলআর) আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট সফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া।
-আইএইচ/এমএ