দূষিত বর্জ্য রোধে কারখানা ঘেরাও করে মানববন্ধন
Published : Tuesday, 29 August, 2023 at 9:22 PM Count : 217
সাভারে মধুমতি টাইলস কারখানার দূষিত পানি ও বর্জ্য রোধে কারখানা ঘেরাও করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার দুপুরে সাভার পৌর এলাকার গেন্ডাটিয়া বাড়ি মহল্লায় অবস্থিত মধুমতি টাইলস কারখানা ঘেরাও করা হয়।
এর আগে সকালে সাভার উপজেলা ও পৌরসভার সামনে মানববন্ধন করেন ভুক্তভোগীরা।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ভুক্তভোগীরা জানান, কোনো পরিশোধন ছাড়াই মধুমতি টাইলস কারখানার দূষিত পানি কারখানা কর্তৃপক্ষ স্থানীয় ড্রেনে ফেলছে। এতে নিচু কয়েকটি অঞ্চলে টাইলস কারখানার দূষিত পানি প্রবেশ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছে। সেই সঙ্গে বাসা বাড়িতে ওই কারখানার পানি প্রবেশ করে জলাবদ্ধতাও সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়াও ছোট শিশু ও নারীরা পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
ভুক্তভোগিদের দাবি, অবিলম্বে কারখানার পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থাসহ বায়ু দূষণ, শব্দ দূষণ ও অপরিকল্পিত কাঁদাযুক্ত ক্যামিকেলের পানি বাসা বাড়িতে প্রবেশ বন্ধ করতে হবে।
ভুক্তভোগী জামাল হাওলাদার বলেন, মধুমতি টাইলস কোম্পানির অপরিশোধিত কাঁদাযুক্ত ক্যামিকেলের পানি আবাসিক এলাকার ড্রেনে ফেলায় পরিবেশ ও বায়ু দূষণ হচ্ছে। এছাড়া কারখানাটির প্রচন্ড শব্দে আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা শব্দ দূষণের শিকার হওয়ার পাশাপাশি ময়লা পানির কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
হালিমা বেগম নামের স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, অবিলম্বে মধুমতি টাইলসের ময়লা এবং ক্যামিকেলযুক্ত পানি বাসা বাড়ির ড্রেনে ফেলা বন্ধ করতে হবে। ড্রেনের সঙ্গে দেয়া সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ জলাবদ্ধতা রোধে স্থানীয় প্রশাসন ও সরকারের উপর মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সবুজ আন্দোলন সাভার থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. ওমর ফারুক বলেন, সাভারের বিভিন্ন এলাকায় মধুমতি টাইলসের মতো বেশকিছু কোম্পানি নিয়ম না মেনেই বাসা বাড়ির ড্রেনে কারখানার ক্যামিকেলের পানি ছেড়ে দিয়ে পরিবেশ দূষিত করে চলেছে। এসব কারখানার বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর এবং স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় দিন দিন তাদের স্বেচ্ছাচারিতা বেড়েই চলেছে। তাই এদের বিরুদ্ধে দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানোর আহ্বান জানাই।
এসব বিষয়ে কথা বলতে মধুমতি টাইলসের গেইটে যোগাযোগ করা হলে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
-ওএফ/এমএ
