ঠাকুরগাঁওয়ে লেপের চাহিদা বেড়েছে
Published : Monday, 26 December, 2022 at 6:56 PM Count : 101
সর্ব উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড়। সীমান্তবর্তী ও হিমালয়ের কিছুটা কাছাকাছি অবস্থিত হওয়ায় ঠাকুরগাঁওয়ে শীতের তীব্রতা অনেক বেশি। শীত নিবারণে জেলায় লেপের চাহিদাও বেড়েছে। তাই লেপ তৈরিতে দিন-রাত ব্যস্ত সময় পার করছে কারিগররা।
রোববার রাত ৮টার দিকে ঠাকুরগাঁও শহরের কালিবাড়ি বাজারের লেপ-তোষক তৈরির কারিগরদের লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা যায়। দিন-রাত কাজ করছে শ্রমিকরা।
কালিবাড়ি তুলা ঘরের কারিগর আবুল কাশেম জানান, তিনি গত ৪০ বছর ধরে লেপ তৈরির কাজ করে আসছেন। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার আগাম শীতের কারণে লেপের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। দিনে একেকজনে ছয় থেকে আটটা পর্যন্ত লেপ তৈরি করেন। এতে তারা প্রতি লেপ সেলাইতে মজুরি পান ১৫০ টাকা। এবার তাদের কাজের চাপ এখন থেকেই বেড়েছে। তাই সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কাজ করছেন। কাজের চাপ আরও বাড়তে পারে।
কালিবাড়ি মিন্টু তুলা ঘরের কারিগর দুলাল জানান, এখন জাজিমের চাহিদার থেকে লেপের চাহিদা বেশি হলেও জাজিমের চাহিদাও কম না। আমরা প্রতি জাজিমে সেলাই মজুরি পাই ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা। দু'জন কারিগর মিলে দিনে কমপক্ষে চারটি জাজিম তৈরি করতে পারেন।
কারিগর সুমন ইসলাম জানান, অন্যান্য মৌসুমে দিনে দুই থেকে তিনটি করে লেপ তৈরির কাজ পাওয়া গেলেও বর্তমানে ১২ থেকে ১৭টা পর্যন্ত লেপ সেলাইয়ের কাজ হয়। এই কাজ চলে দুই/তিন মাস মাত্র। তারপর সারা বছর জাজিম আর তোষক বানাই। সে কারণে এই শীতে বেশি লেপ বানিয়ে ব্যবসা করতে হবে।
কারিগর আইনুল হক জানান, এখানে কার্পাস, পলি, শিমুলসহ বিভিন্ন প্রকার তুলা পাওয়া যায়। কার্পাস নামক তুলাটি লেপ তৈরির জন্য সব থেকে ভালো। কার্পাস তুলাটির বর্তমান বাজার মূল্য ২০০ টাকা কেজি।
কালিবাড়ি তুলা ঘরের স্বত্বাধিকারী আব্দুল মমিন জানান, গতবার নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসের তুলনায় এবার নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে তুলনামূলক ভাবে লেপের বিক্রয় বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে গতবারের তুলনায় এবার বিভিন্ন প্রকার তুলা ও কাপড় অনুযায়ী লেপ প্রতি দাম বেড়েছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। বর্তমানে বিভিন্ন মাপের লেপ বিক্রয় হচ্ছে এক হাজার ৫০০ থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত।
মিন্টু তুলা ঘরের স্বত্বাধিকারী মিন্টু জানান, এবারের শীতে ক্রেতার চাপ বেড়েছে। এতে কারিগররাও অনেক রাত পর্যন্ত কাজ করছেন বিধায় তাদের একটু কষ্ট হচ্ছে। বর্তমানে লেপ তৈরির বিভিন্ন মালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় লেপের দামও একটু বেশি। তারপরও অনেক মানুষ লেপ বানাচ্ছেন। ডেলিভারি দিয়ে শেষ করা যাচ্ছে না।
-এএ/এমএ