পুলিশের চোখে স্প্রে মেরে পালিয়েছে অভিজিৎ হত্যা মামলার ২ আসামি
Published : Sunday, 20 November, 2022 at 4:05 PM Count : 80
পুলিশের চোখে স্প্রে মেরে ঢাকার আদালত থেকে লেখক অভিজিৎ রায় ও জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামী পালিয়ে গেছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও গোয়েন্দা প্রধান হারুন উর রশীদ বলেন, গেট থেকে বের হওয়ার সময় দুটি হোন্ডায় এসে যারা এখানে অফিসাররা ছিল, তাদের মুখে স্প্রে করে চারজন জঙ্গি থেকে দুজনকে নিয়ে গেছে। আমরা ঢাকা শহরের সব জায়গায় চেকপোস্ট বসিয়েছি। আমাদের ডিবি টিম আশেপাশের সব গলিতে চেক করছে। আশা করি, আমরা তাদের খুব শীঘ্রই গ্রেপ্তার করতে পারবো।
এই সময় সেখানে দুটি মোটরসাইকেল ছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। জঙ্গিরা সেই মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে গেছে। ফলে পুরো বিষয়টি পূর্ব পরিকল্পিত বলে তারা ধারণা করছে।
যে দুজন পালিয়ে গেছে, তাদের একজনের নাম মোঃ আবু ছিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব। আরেকজনের নাম মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত সামির। শামীমের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতকে আর সোহেলের বাড়ি লালমনিরহাটের আদিত্যমারী উপজেলায়।
ঢাকার গোয়েন্দা প্রধান হারুন উর রশীদ বলেন, ‘’তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন টেকনিক ব্যবহার করে। এইবার তারা একটা নতুন টেকনিক, তারা সবার চোখে স্প্রে করে ওদেরকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। কিন্তু আমরা তাদের অবশ্যই গ্রেপ্তার করবো।‘’
‘’সবসময়েই আমাদের কাজ চলছে। সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, জঙ্গি- সবার বিরুদ্ধেই আমাদের কাজ চলছে। তবে আমরা মনে করি, এটা একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। সবাইকেই আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসবো,’’ তিনি বলেন।
এদের গ্রেপ্তারের পর পুলিশ জানিয়েছিল, তারা তথাকথিত আনসার আল ইসলাম জঙ্গি দলের সদস্য। এই দুজনকে ধরিয়ে দিতে পুলিশ একসময় পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল।
সাধারণত মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী বা জঙ্গিদের আদালতে আনা নেয়ার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা নেয়া হয়। তাহলে এরকম ঘটনা কীভাবে ঘটলো?
পুলিশের মুখপাত্র ফারুক হোসেন বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, ''দায়িত্বরত পুলিশের গাফিলতিতে এই ঘটনা ঘটতে পারে বলে আমরা মনে করছি। এই বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।''
গত বছরের ১০ই ফেব্রুয়ারি জাগৃতি প্রকাশনীর সত্ত্বাধিকারী ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় আরও ছয়জনের সাথে মৃত্যুদণ্ড হয়েছিল এই দুইজনের।
আর এর ছয়দিন পরে ১৬ই ফেব্রুয়ারি অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় আরও চারজনের সাথে মৃত্যুদণ্ড হয়েছিল মোঃ আবু ছিদ্দিক সোহেলের। সূত্র: বিবিসি বাংলা।
এনএন
