কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) প্রথমবারের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩৭ জন মেধাবী ও অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীকে ভাইস চ্যান্সেলর ছাত্রবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ইন্সটিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি)।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন।
পরে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন কেন্দ্রীয় মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মোহাম্মদ খলিলুর রহমান এবং পবিত্র গীতা থেকে পাঠ করেন কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান পার্থ চক্রবর্তী।
কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক খলিল আহাম্মেদ এবং ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শারমিন সুলতানার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, ট্রেজারার ড. মো. আসাদুজ্জামান, ময়নামতি রেজিমেন্টের রেজিমেন্ট কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. কামরুল ইসলাম (পিএসসি), কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী শফিকুল ইসলাম, কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নাজমা আশরাফী।
এছাড়াও, অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট, অনুষদের ডিন, ছাত্র পরামর্শক ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক, বিভিন্ন বিভাগের প্রধান, ১৯টি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীরা।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, 'এই বৃত্তি অর্জনের পেছনে রয়েছে তোমাদের কঠোর পরিশ্রম, নিয়মানুবর্তিতা, ত্যাগ-তীতিক্ষা এবং সর্বোপরি সবচেয়ে বড় যেটা কাজ করেছো সেটা হচ্ছে অধ্যবসায়। এই অসাধারণ স্বীকৃতির জন্য তোমাদের সবাইকে অভিনন্দন। আজকের এই বৃত্তি প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে তোমাদের পড়াশোনার প্রতি আরও বেশি মনোযোগী করে তোলা। আমি মনে করি, এই স্বীকৃতি তোমাদের আরও অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে।
তিনি বলেন, 'আমাদের শিক্ষার্থীরা শুধু সাধারণ শিক্ষার্থী নয়, তারা প্রত্যেকে অসাধারণ শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের আমরা এমন ভাবে তৈরি করতে চাই যেন পড়াশোনা শেষে জাতীয় ভাবে ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মানবিক কল্যাণে কাজ করতে পারে।'
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, 'শিক্ষার্থীদের প্রদানকৃত আজকের এই সামান্য অর্থ তাদের নতুন প্রেরণার যোগান দেবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তবুও প্রশাসনের স্কলারশিপের এই কালচার শুরুর মাধ্যমে শিক্ষা ও গবেষণায় শিক্ষার্থীদের নতুন ভাবে উদ্বুদ্ধ করছে। এই সামান্য অর্থ শিক্ষার্থীদের তেমন কোন উপকারে হয়তো আসবে না। তবে এটি স্বাক্ষর বহন করবে যে তারা মেধাবী।'
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসির ডিরেক্টর প্রফেসর ড. মো. রশিদুল ইসলাম শেখের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ছয়টি অনুষদের ১৯টি বিভাগের ২৩৭ জন শিক্ষার্থীকে ভাইস চ্যান্সেলর স্কলারশিপ- ২০২২ প্রদান করা হয়েছে। মেধাবী ও অস্বচ্ছল এই দুই ক্যাটাগরিতে শিক্ষার্থীদের আট হাজার ৫০০ টাকা করে চেক প্রদান করা হয়।
-এওয়াই/এমএ